বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত
Published: 6th, April 2025 GMT
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধারকারী ও মেডিকেল টিমের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আজ মিয়ানমারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধসে পড়া ভবনে বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দল উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে।
রোববার (৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
উদ্ধারকারী ওই দলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যবৃন্দ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের অভিজ্ঞ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। প্রকৌশল দল কর্তৃক পরিচালিত প্রাথমিক মূল্যায়নে জানা যায়, ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে ভবনের অধিকাংশ কলাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভবনের কিছু অংশ সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে।
আরো পড়ুন:
মিয়ানমারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্ধার ও মেডিকেল সেবা অব্যাহত
নীলফামারীতে পুলিশ-সেনা সদস্যদের যৌথ টহল অব্যাহত
আইএসপিআর আরো জানায়, ওই ভবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, কম্পিউটার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম উদ্ধারে বাংলাদেশ টিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগামীকালও উক্ত কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ চিকিৎসা সহায়তা দল আজও নেপিডো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান অব্যাহত রাখে। বিশেষভাবে উল্লেখ্য, ১,০০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভূমিকম্পে গুরুতর আহত এক শিশুর সফল অস্ত্রোপচার ও উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি আরো পাঁচটি গুরুতর অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। আগামীকাল ওই দল পুনরায় মিয়ানমার স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে উদ্ধার কার্যক্রম ও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখবে।
ঢাকা/হাসান/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিতে ইন্টারনেটের দাম ২০% বাড়বে: আইএসপিএবি
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে বলছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন সেবাদাতারা।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি গাইড লাইনের খসড়া করেছে। এ নিয়ে আপত্তি তুলেছে আইএসপিএবি।
নতুন গাইডলাইনে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ দিতে হবে। এ ছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্য ১৪ শতাংশ বাড়বে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না। সরকার ভুল পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আমিনুল হাকিম বিদ্যমান নীতির সঙ্গে প্রস্তাবিত নীতির তুলনামূলক উপস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল এবং ভ্যাটসহ ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ পায় কিন্তু নতুন নীততে তা ৪০ দশমিক ২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম বলেন, বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা সরকার বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। সরকার একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলছে, অন্যদিকে নিজেরা দাম বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ধরেছে ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা। কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য তা ২৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, স্টারলিংককে এত সুবিধা দেওয়ার কারণ কি?
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি বলেছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস এবং লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেক্টিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যা দেশীয় এবং নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে। এ ছাড়া বড় প্রভাব পড়বে সাধারণ গ্রাহকের ওপর।