নোয়াখালী থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে কুমিল্লা নগরের ঝাউতলা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়।

আজ সোমবার সকাল সাতটার দিকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বরকতউল্লাকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন বরকতউল্লার স্ত্রী শামীমা বরকত।

শামীমা বরকত মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর স্বামীর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তাঁকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সকাল সাতটার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।

এর আগে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে ঢাকায় ফেরার পথে লাকসামে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা বরকতউল্লা।

গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে বরকতউল্লার সঙ্গে থাকা কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা বলেন, ‘বুলু ভাই দলীয় ও ব্যক্তিগত কাজ শেষে ঢাকায় ফেরার পথে লাকসামে হঠাৎ তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। এরপর দ্রুত তাঁকে কুমিল্লা শহরে নিয়ে আসা হলে আমরা তাঁকে মুন হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসক দ্রুত তাঁকে সিসিইউতে পাঠান।’

ইউসুফ মোল্লা আরও বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন, বরকতউল্লার ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে। এ জন্য শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। তবে ভয়ের কিছু নেই বলেও চিকিৎসক জানিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ র র পথ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু এ বছরই: রুশ রাষ্ট্রদূত

চলতি বছরের শেষ নাগাদ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ম্যান্টিতস্কি। রোববার রাশিয়া দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ বছর রাশিয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয়ের ৮০ বছর উদযাপন করছে। একইসঙ্গে সোভিয়েত পারমাণবিক শিল্প প্রতিষ্ঠারও ৮০ বছর। এই গৌরবময় সময়ে রূপপুর প্রকল্পের অগ্রগতি আমাদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।’ তিনি জানান, রুশ ও বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের যৌথ প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে এবং প্রথম ইউনিট উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, রূপপুর প্রকল্প শুধু প্রযুক্তিগত নয়, রাশিয়া-বাংলাদেশ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক অংশীদারত্বের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ জ্বালানি খাতে একটি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা ‘রোসাটম’ এর সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র, যার প্রতিটি ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং বর্তমানে প্রকল্পের প্রথম ইউনিট পরীক্ষামূলক চালুর প্রস্তুতিতে রয়েছে।

উল্লেখ্য, রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়নে রাশিয়ার প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন রয়েছে। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর অন্যতম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ