খরুচে বোলিংয়ের পর, ম্যাচ ফি কাটা গেল ইশান্তের
Published: 7th, April 2025 GMT
২০২২ মৌসুমের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স রোববার (৬ মার্চ, ২০২৫) দারুণ খেলেছে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে তাদের ঘরের মাঠেই ২০ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে হারিয়েছে। উঠে এসেছে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে।
তবে দিনটি একদমই ভালো যায়নি গুজরাট পেসার ইশান্ত শর্মার। উইকেট শূন্য থেকে দিয়েছেন ৫৩ রান! প্রথমে ব্যাট করা হায়দরাবাদের দলীয় সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫২ রান। বাজে পারফরম্যান্সের পর, ম্যাচ শেষে এই ৩৬ বছর বয়সী পেসারকে গুনতে হলো জরিমানা, যা মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে।
জানা গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) আইপিএল কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের জন্য ইশান্তের ম্যাচ ফি’র ২৫ শতাংশ জরিমানা করেছে। এই খবরটি সোমবার (৭ এপ্রিল) একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করেছে বিসিসিআই। যেখানে জানানো হয় যে ইশান্ত এই জরিমানা গ্রহণ করেছেন কোনও আপিল না করে। আইপিএল কোড অব কন্ডাক্টের আর্টিকেল ২.
আরো পড়ুন:
‘ভাবিনি ১৫ বছর একসাথে খেলব’
হায়দরাবাদের টানা ৪ হার
আইপিএল কোড অব কন্ডাক্টের আর্টিকেল ২.২’এ ব লা আছে, স্টাম্পে লাথি মারলে, ড্রেসিং রুমের দরজা, বিজ্ঞাপন বোর্ড, আয়না বা অন্যান্য ফিক্সচারগুলিতে ইচ্ছাকৃত, উদাসীন বা অবহেলাজনিতভাবে ক্ষতি করলে, এমনকি দুর্ঘটনাক্রমেও ক্ষতি করলে জরিমানা গুনতে হবে।
নিজের বোলিংয়ে বিরক্ত হয়ে একটা ভুল করে বসেন ইশান্ত। বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করার সময় পানির বোতলে লাথি মারেন এই দীর্ঘদেহী পেসার। বোতল গিয়ে লাগে বিলবোর্ডে। তাতেই আইপিএলের কোড অব কন্ডাক্টের আর্টিকেল ২.২ লঙ্ঘন হয়।
ঢাকা/নাভিদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।