লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষে একজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুরে উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এতে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

সংঘর্ষে নিহত হন ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি হানিফ দেওয়ানের ছোট ভাই সাইজ উদ্দিন দেওয়ান। আহতদের মধ্যে বিএনপি কর্মী আবু খানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকেসহ ৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব শামীম গাজী ও বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ফারুক কবিরাজের মধ্যে দলে আধিপত্য, মাছঘাট, মেঘনার চর এবং কাঁচাবাজারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। সোমবার সকাল থেকে দু’পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছিল। বিকেলে ফারুক কবিরাজের ভাই মেহেদী কবিরাজের নেতৃত্বে লোকজন বাজারের নতুন সেতুর পাশ থেকে শামীম গাজী পক্ষের সাইজ উদ্দিন ও আবু খানকে তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর ও কুপিয়ে আহত করে। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক সাইজ উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই আবু খানসহ চারজনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষের পর খাসেরহাট এলাকায় কয়েকটি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। আতঙ্কে অনেক পরিবার এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। 

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ডা.

কমলাশীষ রায় বলেন, সাইজ উদ্দিন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত এল ক য় স ঘর ষ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

একজন মার্করাম, একটি সেঞ্চুরি এবং ২৭ বছর পর একটি ট্রফি

কে বেশি ক্লান্ত—ক্রিকেট না দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেটের ক্লান্তি দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিতে না পারার আর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লান্তি ক্রিকেটের কাছ থেকে বৈশ্বিক কোনো শিরোপা নিতে না পারার! অবশেষে ক্লান্তির সেই কবিতার ক্লাস শেষ হলো। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকাকে কিছু দিল অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট খেলাটিকে দায়মুক্ত করল তার কাছ থেকে একটি বিশ্বকাপ নিয়ে! ক্রিকেটকে দায়মুক্ত করা বা দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতার একঘেয়ে ক্লান্তি ঘোচানোর নায়ক কে? লর্ডসে ২০২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচটি বিশ্লেষণ করলে প্রশ্নটিকে অতীব সহজ মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। উত্তরটাও সবার এখন জানা। একবাক্যে সবাই বলবেন, নায়কের নাম এইডেন মার্করাম।

টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি—ক্রিকেটের যে সংস্করণের কথাই বলুন, দক্ষিণ আফ্রিকা খেলাটির অন্যতম পরাশক্তি। কিন্তু ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে হওয়া আইসিসি নকআউট ট্রফি (মিনি বিশ্বকাপ) ছাড়া আজকের আগপর্যন্ত কোনো বৈশ্বিক ট্রফি প্রোটিয়াদের ছিল না।

অবশেষে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার মাথায় বিশ্বসেরার মুকুট উঠল, ক্রিকেট-তীর্থ নামে পরিচিত লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক মেইস বা গদা তুলে ধরেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলটির অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২৭ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টে দক্ষিণ আফ্রিকা বলতে গেলে একা হাতে শিরোপা জিতিয়েছেন মার্করাম। আরও স্পষ্ট করে বললে আসলে প্রোটিয়াদের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা এনে দিয়েছে মার্করামের ইতিবাচকতা, আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ব নিয়ে খেলার দৃঢ়তা।  

ঠিক ১১ বছর আগে মার্করাম নিজেকে ঠিক এ রকম তিনটি শব্দেই বর্ণনা করেছিলেন। সালটা ২০১৪, সেবার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক ছিলেন মার্করাম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আইসিসির এক অনুষ্ঠানে মার্করামকে প্রশ্ন করা হয়েছিল—নিজেকে তিনটি মাত্র শব্দে কীভাবে বোঝাবেন। উত্তর যেন মুখস্থ, এমনভাবেই ১৯ বছর বয়সী তরুণ মার্করামের উত্তর ছিল—ইতিবাচক, আত্মবিশ্বাসী ও দায়িত্ববান।

সেঞ্চুরির পর মার্করাম

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাতারাতি তারকা হলে দীর্ঘ সময় দর্শকের মনে থাকা কঠিন: রিচি
  • গুম করা হতো তিনটি ধাপে 
  • এক মৃত্যুপথযাত্রী পিতার থেকে ২০টি শিক্ষা
  • রেনু বেগমের ‘বুকভাসা চোখের পানি’ কেন
  • ইরান অনড়, ইসরায়েল কঠোর
  • ইরানে নিরাপদে আছেন ৬৬ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী
  • নীরব ভালোবাসার আরেক নাম
  • নারীবাদের ছদ্মবেশে ভারত যখন যুদ্ধ চালায়
  • কুমিল্লায় করোনায় আক্রান্ত ৪
  • একজন মার্করাম, একটি সেঞ্চুরি এবং ২৭ বছর পর একটি ট্রফি