Samakal:
2025-08-02@06:20:10 GMT

লামায় ৯ তামাক চাষিকে অপহরণ 

Published: 8th, April 2025 GMT

লামায় ৯ তামাক চাষিকে অপহরণ 

বান্দরবানের লামায় ৯ জন তামাক চাষিকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। অপহরণের খবর পাওয়ার পরপরই যৌথবাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি লেমুপালং এলাকার তামাক চাষি আল আমিন ও ভুট্টোর খামার বাড়ি থেকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের স্থান দুর্গম ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিহীন হওয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে অপহৃত তামাক শ্রমিকদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম উদ্ধার অভিযানে নেমেছেন। মুক্তিপণের দাবিতে এই অপহরণ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এর আগে লামা উপজেলার সরই ইউপিতে ১৪ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ১৪ জন এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি ফাসিয়াখালি ইউপি এলাকার ২৬ রাবার বাগান শ্রমিককে অপহরণ করা হয়। পরে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে মোটা অংকের মুক্তিপণ আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়। একের পর এক অপহরণের কারণে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারীদের মধ্যে অপহরণ আতংক বিরাজ করছে বলে জানান স্থানীয়রা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অপহরণ অপহরণ র

এছাড়াও পড়ুন:

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার