চীনকে পানামা খালের কার্যক্রম হুমকির মুখে ফেলতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ মধ্য আমেরিকার দেশ পানামা সফরকালে এ সতর্কবার্তা দেন।

জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর হেগসেথ হলেন দ্বিতীয় কোনো শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা, যিনি পানামা সফর করছেন। তিনি জলপথে চীনের প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের খনন করা খালটি ‘ফেরত নেওয়ার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

প্রবেশপথে অবস্থিত একটি পুলিশ স্টেশনে বক্তৃতাকালে হেগসেথ বলেন, ‘আজ পানামা খাল ক্রমাগত হুমকির সম্মুখীন। কমিউনিস্ট চীন কিংবা অন্য কোনো দেশকে এই খালের অখণ্ডতা বা কার্যক্রমকে হুমকির মুখে ফেলতে দেবে না যুক্তরাষ্ট্র।’

যুক্তরাষ্ট্র শতাব্দীরও বেশি পুরোনো এই খালটি খনন করে এবং ১৯৯৯ সালে এটি পানামার কাছে হস্তান্তর করে।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। নিরাপত্তা সম্পর্ক নিশ্চিত করে উভয় পক্ষ একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছে। যদিও খালের ওপর পানামার সার্বভৌমত্বের বিষয়ে উভয় পক্ষের প্রকাশিত ঘোষণায় একটি উল্লেখযোগ্য অসংগতি ছিল।

মুলিনোর কার্যালয় থেকে স্প্যানিশ ভাষায় প্রকাশিত বিবৃতিতে ‘হেগসেথ পানামা খাল এবং এর আশপাশের এলাকার ওপর পানামার নেতৃত্ব এবং অবিচ্ছেদ্য সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।’

কিন্তু মার্কিন সরকার প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার বিবৃতিতে এই বাক্যটি উল্লেখ করা হয়নি।

হংকংয়ের একটি কোম্পানি আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরকে সংযুক্তকারী পানামা খালের উভয় প্রান্তে দুটি বন্দর পরিচালনা করে। বিশ্বব্যাপী মোট জাহাজ চলাচলের ৫ শতাংশ হয় এই জলপথ দিয়ে।

ট্রাম্প প্রশাসন পানামার ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে, যাতে দেশটি খালের ওপর চীনা প্রভাব কমাতে পারে। ওয়াশিংটন এই প্রভাবকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।

তবে এই জলপথের ওপর চীনের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণের দাবি অস্বীকার করেছে পানামা। যদিও এ বিষয়ে দেশটির প্রতিবাদ দুর্বল হয়ে পড়েছে। হেগসেথের সফরের প্রাক্কালে পানামা হংকংয়ের কোম্পানিটির বিরুদ্ধে চুক্তিগত বাধ্যবাধকতা পূরণে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলেছে।

হেগসেথ বলেন, ‘আমি খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, চীন এই খালটি তৈরি করেনি। চীন এই খালটি পরিচালনা করে না। আর চীন এই খালটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবে না।’

মুলিনোর সঙ্গে কথা বলার সময় হেগসেথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও পানামা একসঙ্গে ‘চীনের প্রভাব থেকে পানামা খালকে পুনরুদ্ধার করবে। পাশাপাশি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে কার্যকর এবং সবচেয়ে মারাত্মক যুদ্ধ বাহিনীর প্রতিরোধক্ষমতা ব্যবহার করে এটিকে সব দেশের জন্য উন্মুক্ত রাখবে।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী দাবি করেন, খাল এলাকার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ বেইজিংকে পানামাজুড়ে গুপ্তচরবৃত্তি করার সুযোগ এনে দিয়েছে। এর ফলে পানামা এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘কম নিরাপদ, কম সমৃদ্ধ এবং কম সার্বভৌম’ হয়ে পড়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এই খ ল র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) পর্যন্ত সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ১.৯৪ শতাংশ।

শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৩১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.২০ পয়েন্ট বা ১.৯৪ শতাংশ।

এর আগের সপ্তাহের (২৪ থেকে ২৮ জুলাই) শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯.৭১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৩১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬০ পয়েন্ট বা ৬.১৮ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.১০ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৭.১৯ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ৯.৮৯ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১০.৭০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.০৮ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৫ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.৬০ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৭৭ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪.১০ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৯৪ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৬.৩১ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬৫ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৭.৯৬ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ১৮.৪৩ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২১.৮১ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.৯৩ পয়েন্টে, পাট খাতে ২৬.১৯ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৬.৭৭ পয়েন্টে,   এবং সিরামিক খাতে ৫৭.৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ