ব্যায়াম করার আগে ভারী খাবার গ্রহণ করতে নিষেধ করেন প্রশিক্ষকেরা। অনেক সময় দেখা যায়, অনেকে শরীরচর্চা করার সময় অনেকে এনার্জি ড্রিঙ্কস পান করে থাকেন। এতে শরীর দ্রুত শক্তি পায়। তবে এর ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ব্যায়াম করার অন্তত আধা ঘণ্টা আগে খাবার গ্রহণ করতে হবে। এতে ক্যালোরি বেশি ঝরানো সম্ভব।
ভারতের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ’- এর গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, ব্যায়াম করার আগে ছোলাসিদ্ধ বা বাদাম খাওয়া ভালো। এ ছাড়া খেজুর খাওয়া যেতে পারে।
ব্যায়ামের আগে-পরে যেসব খাবার গ্রহণ করবেন সেসব খাবারে যেন প্রোটিন, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন ঠিক মাত্রায় থাকে। কারণ ব্যায়াম করার সময় শক্তি ক্ষয় হয়, তাই এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরের শক্তির জোগান দিতে পারে এবং ক্যালোরিও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী হলো খেজুর। এতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। যা পেশির শক্তি জোগাবে। খেজুর পেশিকে নমনীয় রাখতে পারে।
আরো পড়ুন:
পেটের চর্বি কমাতে হলে যা যা করতে হবে
কখন গোসল করা ভালো
খেজুরের মধ্যে ‘ডেগলেট নূর; জাতের খেজুর সবচেয়ে দ্রুত শক্তি জোগাতে পারে। এই খেজুর মিষ্টি কম থাকায়, ডায়াবেটিসের রোগীরাও খেতে পারেন। পাশাপাশি, শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমবে। শরীরচর্চার পরে যে ক্লান্তি ও ঝিমুনি ভাব আছে, তা দূর করতেও সাহায্য করবে ডেগলেট খেজুর।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য য় ম কর র
এছাড়াও পড়ুন:
নায়িকা হতে আসিনি, তবে...
গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।
‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।
আইমন শিমলা