ভারতের চেয়ে অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশের জন্য এত মঙ্গল চায় না: জয়শঙ্কর
Published: 10th, April 2025 GMT
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জোর দিয়ে বলেছেন, শিগগির বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদী। গত বুধবার নয়াদিল্লির ভারত মণ্ডপে নিউজ১৮-এর ফ্ল্যাগশিপ রাইজিং ভারত সামিটে দেওয়া বক্তৃতায় এ কথা বলেন জয়শঙ্কর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য রয়েছে। গণতন্ত্রের জন্যই নির্বাচন প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমেই মনোনয়ন দেওয়া এবং তা নবায়ন করা হয়। আমরা আশাবাদী, তারা এ পথই অনুসরণ করবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্ট জানায়, বক্তৃতায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কয়েক দশকের পুরোনো সম্পর্ক জনগণ ধরে রেখেছে। ভারতের চেয়ে অন্য কোনো দেশ বাংলাদেশের জন্য এত মঙ্গল চায় না। বিষয়টি ভারতের ডিএনএতেই রয়েছে। শুভাকাঙ্ক্ষী ও বন্ধু হিসেবে ভারত আশা করে, বাংলাদেশ সঠিক পথে চলবে; ঠিক কাজটি করবে।
সম্প্রতি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.
তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে যে বার্তা আসছে, দেশটিতে আমরা যে মৌলবাদী প্রবণতা দেখছি, তা উদ্বেগের। সংখ্যালঘু হামলা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন এবং বৈঠকে উদ্বেগের বিষয়ে খুব খোলামেলা আলাপ হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উদ ব গ
এছাড়াও পড়ুন:
১০ হাজার বছর আগের এক নারীর প্রতিকৃতি বানালেন গবেষকেরা
বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও শিল্পের সম্মিলনে তৈরি করা হয়েছে মেসোলিথিক বা মধ্য প্রস্তরযুগের এক নারীর মুখের প্রতিকৃতি। প্রায় ১০ হাজার ৫০০ বছর আগে বাস করা মোসঅ্যান নামের ওই নারীর মুখাবয়বে বসানো উজ্জ্বল নীল চোখ ও কিছুটা শঙ্কিত দৃষ্টি আজও বিস্ময় জাগায়।
এই গবেষণামূলক প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল ইউরোপের শেষ শিকারি বা সংগ্রাহকদের জীবনধারা অন্বেষণ করা। প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্যের ভিত্তিতে গড়ে তোলা এই প্রতিকৃতি আধুনিক প্রযুক্তি ও শিল্পীর নিপুণ দক্ষতায় মোসঅ্যানকে নতুন প্রাণ দিয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান গবেষক ইসাবেল ডে গ্রোত বলেন, ‘এই প্রকল্পের একটি অংশ হলো মানুষের জেনেটিক গঠন বোঝা, তাদের আত্মীয়তার সম্পর্ক নির্ধারণ এবং আমরা যে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করছি, তা বৃহত্তর জনগণের কাছে সহজভাবে তুলে ধরা।’
বিজ্ঞানীরা যে খুলি থেকে প্রতিকৃতি পুনর্গঠন করেছেন, সেটি ছিল অসাধারণভাবে সংরক্ষিত। জনগণের ভোটে নাম রাখা হয় ‘মোসঅ্যান’। এ নাম রাখা হয়েছে বেলজিয়ামের মিউস উপত্যকার নামানুসারে। এই খুলিতে প্রচুর পরিমাণে সংরক্ষিত ডিএনএ ছিল, যার ফলে ওই নারীর মুখাবয়বকে অত্যন্ত বাস্তবসম্মতভাবে পুনর্গঠন করা সম্ভব হয়েছে। তাঁর বয়স ছিল ৩৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
গবেষক ইসাবেল বলেন, মেসোলিথিক যুগে এই নারী ছিলেন পশ্চিম ইউরোপের শিকারি-সংগ্রাহক জনগোষ্ঠীর অংশ। জেনেটিক পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষকেরা ওই নারীর ত্বকের রং ও চোখের রং বের করতে সক্ষম হন। তিনি আরও বলেন, এই জনগোষ্ঠীকে চেনা যায় তাদের গাঢ় ত্বক ও নীল চোখের জন্য—যেমন ছিল যুক্তরাজ্যের চেডার ম্যানের। প্রায় ১০ হাজার বছর আগে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী চেডার ম্যানের কঙ্কাল ১৯০৩ সালে আবিষ্কৃত হয়।
মোসঅ্যানের ডিএনএ তাঁর চেহারা সম্পর্কে মূল্যবান কিছু সূত্র দিয়েছে। তবে তাঁকে জীবন্ত করে তুলেছে নেদারল্যান্ডসের শিল্পী আলফন্স ও অ্যাডরি কেনিস নামের যমজ দুই ভাইয়ের অনন্য দক্ষতা।
গবেষকদের কাছ থেকে দিকনির্দেশনা পাওয়ার পর তাঁরা কাজ শুরু করেন। খুলির ছাঁচ তৈরি থেকে শুরু করে মাটির মডেলিংয়ে শেষ পর্যায়ের সাজসজ্জা, প্রতিটি মুখের পেশি অঙ্গভঙ্গি নিখুঁতভাবে গড়ে তোলেন তাঁরা। আলফন্স কেনিস আর্নহেম শহরে তাঁদের স্টুডিওতে বলেন, পুনর্গঠনের সবচেয়ে বড় দিকটি হলো একটি চরিত্র তৈরি করা। আপনি চাইলে একটি ফরেনসিক পুনর্গঠন করতে পারেন। তথ্য ব্যবহার করতে পারেন, পেশি বসাতে পারেন, ত্বকও লাগাতে পারেন, কিন্তু এতে কোনো চরিত্র তৈরি হয় না। তবে তাঁরা পুনর্গঠন সম্পন্ন করতে প্রায় ছয় মাস সময় নেন।