Samakal:
2025-06-16@06:26:57 GMT

টরন্টোর গো ট্রেনে কিছুক্ষণ

Published: 10th, April 2025 GMT

টরন্টোর গো ট্রেনে কিছুক্ষণ

গো ট্রেনে পিকারিং থেকে উঠি। ডাউনটাউনে যাব অসম বয়সের তিনজন। আমি একা বসলাম। অন্যপাশে তরুণ দম্পতি। পাশ্চাত্যে যে কোনো জায়গায় বা যে কোনো অবস্থায় যুগল দম্পতি বা প্রেমিকের নানাভাবে তাদের ভালোবাসা প্রকাশে কোনো সংকোচ বা দ্বিধা নেই। আমার কাছে কখনও অশ্লীলও মনে হয়নি। কারণ, ওদের একটা আর্ট আছে। আমি কিছুক্ষণ মুগ্ধ হয়ে দেখলাম। পরের স্টেশনে আরও একটি মাঝবয়সী দম্পতি উঠল। একটি মাঝবয়সী দম্পতির রোমান্টিকতা আমাকে আরও বিস্মিত করল। পরে জানলাম এ ধরনের দম্পতির নতুন রিলেশনশিপ। তবুও ভালো লাগল। আমাদের দেশে এমন করলে মানুষ বলত বুড়ো বয়সের ভীমরতি। জীবন যেন সব বয়সে উপভোগ্য, এটা উপলব্ধি করলাম।
দৃষ্টি সরিয়ে নিলাম ট্রেনের জানালায়। বাইরের দিকে তাকালাম। ঝরা পাতার ঋতু আমাকে বিমর্ষ করে তুলল। কিছুদিন আগেও এ পথে বর্ণিল প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য বিমুগ্ধ করেছে। কত সুন্দর হতে পারে প্রকৃতির যে ঋতুকে ওরা ফল বা পতিত বলে। অর্থাৎ মরার আগে জেগে ওঠার মতো। এত বর্ণ প্রকৃতির হতে পারে, আমার জানা ছিল না। লাল-হলুদ-সবুজের মাখামাখি প্রকৃতির গায়ে। নববধূও এতটা বর্ণময় হয় না। কেমন করে হারিয়ে গেল প্রকৃতির বর্ণিল সাজ একটু একটু করে। এখন যেন ‘মাঘের সন্ন্যাসী’। আমিও নস্টালজিক হয়ে পড়লাম।
শহরে আসা কলেজ জীবন, ইউনিভার্সিটি জীবন আরও এক ধরনের বোধসম্পন্ন মধুময় সময়। নতুন নতুন মুখের সাথে পরিচিত হওয়া, নতুন কিছু শেখা বোঝা। স্যারদের লেকচারের ভাষা অন্যরকম; আগে কথাগুলো অশ্লীল মনে হতো। কত সহজভাবেই-না আকরাম স্যার ‘যোগাযোগ’ উপন্যাস পড়ালেন। কুমুর গভীর উপলব্ধি নিজের মাঝে ধারণ করে ফেললাম। তবুও কোথায় যেন আশির দশকীয় একটি সংকোচ রয়েই গেল। হঠাৎ একদিন রেজিস্ট্রার বিল্ডিং থেকে আর্টস ফ্যাকাল্টিতে আসার পথে পেছন থেকে একটি ছেলে আওড়াতে লাগল ‘ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে/ মুক্ত বেণী পিঠের ’পরে লোটে/ কালো? তা সে যতই কালো হোক/ দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ’। পেছনে তাকানোর সাহস পাইনি কিন্তু বুকের ভেতরে এক শিহরণ ধুকধুক করতে লাগল। অনেক দিন পর তার নাম জানলাম, যাকে দেখলে আমি ভূত দেখার মতো চমকাতাম। কারণ, আমি আশির দশকের দুর্বল চিত্তের এক কালো মেয়ে, যার অনেক লম্বা চুল। আর একজন পেছনে নয়, সামনেই আবৃত্তি করল– ‘চুল তার কবে কার অন্ধকার বিদিশার নিশা/ মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য’। আমি অভিভূত হই, শিহরিত হই, কিন্তু ভীতু মফস্বলের আদর্শ আমাকে বলে– পালা পালা। 
আরও তিনটি মেয়ে পরের স্টেশনে গো ট্রেনে উঠল। ওদের চুটিয়ে আড্ডা আড়চোখে দেখলাম। জীবন তো বৃক্ষ নয়, জীবন জীবন্ত প্রাণবন্ত। আমার মতো জীবনের সাথে প্রতারণা করে না ওরা। এটাই পাশ্চাত্য জীবনের সবচেয়ে ভালো লাগা আমার। গো ট্রেনের এক ঘণ্টা আমার কাছে নস্টালজিক হলেও উপভোগ্য মনে হয়েছে। ছাত্রজীবনেই একজনের গলায় মালা পরালাম বলতে গেলে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবুও এই মেনে নেওয়ার স্বভাবের সনাতনী ভাবনায় মেনে নিলাম। কিন্তু গো ট্রেনের দম্পতিদের মতো রোমান্স প্রকাশ্যে করার সাহস হলো না। একটি চুম্বনের জন্য রিকশার হুড কত টানতে হয়েছে। তখন আমরা ছিলাম বিবাহিত। হঠাৎ কলকাকলিতে সম্বিত ফিরে এলো। দৃষ্টি ফেরালাম ট্রেনের কামড়ায়। নজর পড়লো একজন প্রেগন্যান্ট মহিলার ওপর। আমরা প্রেগন্যান্সি ঢাকবার জন্য শাড়ি ওড়না কতভাবে পেটের ওপর টেনেছি। ওরা প্রেগন্যান্সি দেখানোকে আনন্দ বা গর্ববোধ করে। ছোট টিশার্ট আর ট্রাউজার পরা মহিলা কি উল্লাস চোখেমুখে সাথে আরও একজন মেয়ে। আমার সহযাত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, ওদের লজ্জা করে না। সে বলল, এটাতে লজ্জার কী আছে। এটা তো ওদের আনন্দময় প্রাপ্তি বলে ভাবে। একজন বৃদ্ধ মহিলা উঠল। একটি ছেলে দ্রুত এগিয়ে গিয়ে ওনাকে এনে বসালেন। কুশল বিনিয়ম করলেন হাসি মুখে ওরা; কিন্তু শুধু সহযাত্রী। একটি কথা না বললেই নয়। পাশ্চাত্য শহরে রাস্তাঘাটে যার সাথেই দেখা হয় হাই বা হ্যালো বলে মৃদু হাসি হেসে সম্ভাষণ করে। আরও ভালো লাগলো ওদের ডিসিপ্লিন। প্রত্যেক যাত্রী সুন্দরভাবে সিটে বসে চোখাচুখি হলে মৃদু হাসি দেয়, যেন কত চেনা। ট্রেনের কামড়ায় ওরা বই নিয়ে ওঠে। বিশেষ করে একটু বয়স্ক মানুষদের দেখলাম নিবিষ্ট চিত্তে বইয়ের পাতায় ডুবে আছেন। ছাত্রছাত্রী বা কর্মজীবী টাইপের অনেকে ল্যাপটপ খুলে কাজ করছে ট্রেনের কামরায়। ওদের গতিময় জীবনে যেন স্থবিরতার ঠাঁই নেই। একেবারে অল্পবয়সীরা একটু হাসিঠাট্টায় মেতে যাচ্ছে। ওখানে একটি জিনিস আমার কাছে অবাক লেগেছে, ট্রেন জ্যামে পড়ে। সাথে সাথে অ্যানাউন্স করে যাত্রীদের জানিয়ে দেয়। আরও একটা ব্যাপার দেখলাম, ট্রেনে দু’একজন গাঁজাখোর উঠেছে। সবাই বেশ সহানুভূতির দৃষ্টি নিয়ে ওদের দিকে তাকায়। এসব গাঁজা আসক্ত লোকেরা শহরেও কিছু কিছু গর্হিত কাজ করে। কিন্তু ওদের প্রতি কেউ খারাপ ভঙ্গি পোষণ করে না। ট্রেনের কামড়ায় দেড় ঘণ্টা সময় বিচিত্র জীবন অবলোকন করলাম। বিশেষ করে ওরা কাউকে ন্যূনতম ডিস্টার্ব করে না। যার যার রুচিমতো সে আনন্দ করছে, কাজ করছে– আমাদের মতো সমালোচনায় কেউ লিপ্ত হয় না। যথা সময়ে ট্রেন স্টেশনে থামল। হুড়োহুড়ি নেই। ধীরে ধীরে সবাই নামল।
ভাবলাম একই বিশ্বগ্রামের মানুষ আমরা, জীবন যাপনে কত ভেদ। ওদের জীবনে প্রচণ্ড রকমের ডিসিপ্লিন আছে, আছে প্রচণ্ড মুক্তি। প্রত্যেকে প্রত্যকের রুচিশীলতা, আনন্দময়তা যেভাবে উপভোগ করলো ট্রেনের একটি কামরায়; কেউ কারোর বিনোদনের অন্তরায় হলো না। v

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আরও এক আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগে প্রপাগান্ডার সয়লাব

১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস। ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন তৎকালিন বাকশাল সরকার চারটি পত্রিকা সরকারি ব্যবস্থাপনায় রেখে সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। এতে হাজারো সাংবাদিক রাতারাতি বেকার হয়ে দুঃসহ জীবনে পতিত হন। জনগন সঠিক তথ্য ও বস্তুনিষ্ঠ খবর জানা থেকে বঞ্চিত হয়। গোটা দেশে যেন অন্ধকার নেমে আসে। জবরদস্তিমূলকভাবে তখন সাংবাদিক ও অন্যান্য পেশাজীবীদেরকে  বাকশালে যোগদানে বাধ্য করা হয়। 
অনেক সাংবাদিক সেদিন জীবন-জীবিকার ভয়ে বাকশালের ফরম পূরণ করেন। তাই সংবাদমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতা হরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত। আজ দিবস আর কালো নেই। তথ্য প্রবাহের যুগে এখন মন খূলে লেখা যায়, প্রচার করা যায়। বিশেষ করে গেলো বছরের ৫ আগষ্টে ফ্যাসিবাদের পতনের পর গনমাধ্যমে অনেকটা স্বাধীনতা বেড়েছে। গণভবনের তেল তেলা তোষামদি প্রশ্ন এখন আর চলে না। বলা চলে গণমাধ্যম বিগত ১৬ বছরের চাইতে এখন বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে একটা প্রশ্ন রয়েই গেছে তা হলো পেশাদার কিছু সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে । এসব মামলা বেশির ভাগই আক্রোশের কারনে হয়েছে। বাদীকে না জানিয়ে একটা মহল মামলায় সাংবাদিকের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। এটা নিন্দনীয়। একজন সাংবাদিক মানুষ খুনের মামলার আসামী এটা মেনে নেয়া  দুস্কর । 
৫ আগষ্টে আগে যারা তোষামদি করতো , সঠিক সংবাদ লিখতে কিংবা প্রচার করতো পারতো না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দোহাই দিয়ে যারা গনমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করে রেখেছিল তাদের ভয়ে আতংকে থাকতো। তাদের অনেকে এখন গনমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগে মিথ্যা প্রপ্রাগান্ডা চড়াচ্ছে। গনহত্যাার অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি একটা দলের প্রতি বিশেষ দরদ দেখিয়ে মিথ্যা তথ্য চড়াচ্ছে। অনেকে তাদের ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। যাচাই বাছাই ছাড়া  মিথ্যা তথ্য শেয়ার করছে। তাদের এখনই থামা দরকার। সত্য প্রকাশ করা একজন সাংবাদিকের পেশাগত দায়িত্ব । এ পেশাগত দায়িত্বের কেউ অপব্যবহার করলে মুলত তিনিই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। একসময় তার মিথ্যা সংবাদ পরিবেশের কারনে কেউ তার পাশে আর থাকবেন না। তাকে পেশাদার সাংবাদিক নয়, একজন দালাল হিসেবে চিহ্নিত  হয়ে  আস্তুাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। 
পেছনের কথায় ফিরে  আসি, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন সংবাদ পত্রের কালো দিবস পেরিয়ে  ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার অভাবনীয় বিপ্লবের মধ্য দিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর সাংবাদিকদের লেখার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অবারিত করেন।
জিয়াউর রহমান দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমে সংবাদপত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক সব কালাকানুন শিথিল করে দেশের সব জায়গা থেকে সংবাদপত্র প্রকাশে উৎসাহ প্রদান করেন। শুধু তাই নয়, প্রকাশিত সংবাদপত্র টিকিয়ে রাখা সরকারেরই দায়িত্ব বলেই তিনি মনে করতেন। তিনি রাজশাহী থেকে ‘দৈনিক বার্তা’ নামে একটি প্রথম শ্রেণীর পত্রিকা প্রকাশের ব্যবস্থা করেন। এ পত্রিকা ঘিরে সমগ্র উত্তরাঞ্চলে তথ্যপ্রবাহের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটে। বহু সাংবাদিকের কর্মসংস্থান হয়।ডিক্লারেশনের শর্ত শিথিল করার কারণে সে সময় ঢাকা থেকে শুরু করে বিভাগীয়, জেলা এমনকি থানা পর্যায় থেকে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক পত্রিকা প্রকাশ হতে থাকে। এসব পত্রিকা টিকিয়ে রাখতে জিয়াউর রহমান সরকারি বিজ্ঞাপন বণ্টননীতিও শিথিল করেন। বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন বণ্টন ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণমুক্ত করেন। একই সঙ্গে সরকারি বিজ্ঞাপনের ৬০ ভাগ ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকায় এবং বাকি ৪০ ভাগ মফস্বল থেকে প্রকাশিত পত্রিকায় বণ্টনের ব্যবস্থা করেন। এর ফলে সারা দেশে সংবাদপত্র প্রকাশনায় নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। 
শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই  প্রথম টার্গেট করে সংবাদমাধ্যমকে। সর্বশেষ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেও একই পথে হাঁটে দলটি। গত প্রায় ১৫ বছরে আমার দেশ, দিনকাল, চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, সিএসবিসহ জনপ্রিয় সংবাদপত্র, বেসরকারি টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে কয়েক হাজার সাংবাদিককে বেকারত্বের মুখে ঠেলে দিয়েছিল । ৬০ জন সাংবাদিক খুন হয়েছে। একের পর এক কালাকানুন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। কথায় সাংবাদিক গ্রেফতার তখন নিত্যকার ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সাংবাদিক পরিচয়ে একদল চাটুকার আওয়ামীলীগের দু:শাসনের মদদ দিয়ে জাতির উপর জুলুমের মাত্রা আরো বাড়িয়েছিল। ছাত্রজনতার বিপ্লবে ফ্যাসিবাদের ভয়াবহ পতনে মানুষ যেমন স্বস্তি ফিরে পেয়েছে তেমনি গণমাধ্যম ফিরেছে অবাধ স্বাধীনতায়। 

লেখক : সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শালবনে ছেচরা কই ও পাটখই
  • কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় আটক ২ নেতা, পরে ছাড়া পেলেন একজন
  • আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
  • প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে দুই স্কুলছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
  • খামেনিকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিলেন ট্রাম্প
  • খামেনিকে হত্যায় ইসরায়েলি পরিকল্পনা আটকে দেন ট্রাম্প
  • সাংবাদিক পরিচয়ে গেস্ট হাউসের কক্ষে কক্ষে তল্লাশি, দম্পতির কাছে বিয়ের প্রমাণ দাবি
  • ডেঙ্গু-করোনায় দুই মৃত্যু, আক্রান্ত ২৭৫ জন
  • চলতি মাসের ১৫ দিনে করোনায় ৪ জনের মৃত্যু
  • গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতার সুযোগে প্রপাগান্ডার সয়লাব