টি–টোয়েন্টি চার–ছক্কার খেলা। আর এই সংস্করণের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আইপিএলই সম্ভবত সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সেখানে চার–ছক্কা মারায় এত দিন সবার ওপরেই ছিলেন বিরাট কোহলি। গতকাল রাতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ম্যাচে সেই জায়গায় নিজেকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেলেন কোহলি, যেটা মনে রাখার মতোই এক মাইলফলক। আইপিএলে চার–ছক্কা মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি মারার দৌড়ে শুধু কোহলিই এখন হাজারি ক্লাবের সদস্য।

আরও পড়ুনশ্বশুরের কারণে পাকিস্তান দলে ঢোকার অভিযোগ, ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শাদাব৪ ঘণ্টা আগে

দিল্লির মুখোমুখি হওয়ার আগে চার–ছক্কা মিলিয়ে ৯৯৮টি বাউন্ডারি ছিল কোহলির। বেঙ্গালুরুতে কাল দিল্লির কাছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ৬ উইকেটে হারের ম্যাচে ১৪ বলে ২২ রান করেন কোহলি। একটি চার ও দুটি ছক্কা মারেন। বেঙ্গালুরুর ইনিংসে দিল্লি স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে চার মেরে পৌঁছে যান ৯৯৯–তে। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে সেই অক্ষরকেই চোখধাঁধানো এক শটে ছক্কা মেরে পৌঁছে যান অনন্য এই মাইলফলকে। এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে কোহলির সেই ছক্কা শুধু চোখ জুড়ানোই নয়, এমন একটি মাইলফলকে পৌঁছাতে বলতে পারেন যথার্থ একটি শট।

ছক্কায় মাইলফলকটি ছুঁয়ে ফেলেন কোহলি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২৫০ পর্বে ‘হাবুর স্কলারশিপ’

অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে বৈশাখী টেলিভিশনের জনপ্রিয় দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘হাবুর স্কলারশিপ’। বুধবার (৩০ জুলাই) প্রচারিত হবে নাটকটির ২৫০তম পর্ব। 

সাধারণ একজন গ্রাম্য যুবকের অসাধারণ এক সফলতার গল্প নিয়ে নির্মিত ধারাবাহিক নাটকটি প্রচার হচ্ছে প্রতি মঙ্গলবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে। 

নাটকটির মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন—রাশেদ সীমান্ত। এবারই প্রথম কোনো দীর্ঘ ধারাবাহিকে নিয়মিত অভিনয় করছেন তিনি। তার পাশাপাশি আছেন তানজিকা আমিন, অহনা রহমান, নীলা ইসলাম, শফিক খান দিলু, বিনয় ভদ্র, ফাতেমা হীরা, হায়দার আলী, সাইকা আহমেদ, নেহা মনি, সিদ্দিক মাস্টার, নিজামউদ্দিন, জামাল রাজা, ম আ সালাম প্রমুখ। 

আরো পড়ুন:

‘কোনো দিন জন্মদিন পালন করা হতো না, কেক কাটাও হতো না’

পরিচালককে অভিনেত্রীর জুতাপেটা (ভিডিও)

গল্প ও প্রযোজনার দিক থেকেও নাটকটি ব্যতিক্রম। নাটকটির গল্প লিখেছেন বৈশাখী টিভির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক টিপু আলম মিলন। চিত্রনাট্য রচনা করেছেন আহসান আলমগীর। পরিচালনা করেছেন আল হাজেন। 

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘মিড এন্টারপ্রাইজ’ সূত্রে জানা যায়, দেশের পাশাপাশি নাটকটির দৃশ্যধারণ হয়েছে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায়, যা বাংলাদেশের টিভি নাটকের ইতিহাসে এক নতুন মাইলফলক। ইউরোপের আরো কয়েকটি দেশে শুটিংয়ের পরিকল্পনাও রয়েছে। 

‘হাবুর স্কলারশিপ’-এর গল্প আবর্তিত হয়েছে গ্রামের এক সহজ-সরল ছেলে হাবুকে ঘিরে, যিনি স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যান অস্ট্রেলিয়ার এনএসডব্লিউ বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে নিজের মেধা দিয়ে পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে প্রথম হন হাবু। সহপাঠী মারজান তার দুর্দিনে হয়ে ওঠেন হাবুর একমাত্র ভরসা। 

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফ্যাকাল্টি মেম্বার হওয়ার প্রস্তাব পেলেও, হাবু অস্ট্রেলিয়ায় থেকে যাওয়ার লোভ সামলে দেশে ফিরে আসেন, কারণ ‘মেধা দেশের জন্যই কাজে লাগাতে চায়’ সে। দেশের মাটিতে ফিরে হাবু পরিণত হয় এক প্রতিবাদী চরিত্রে। নাটকের দোলন চাঁপার ষড়যন্ত্র ঠেকিয়ে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক হয়ে ওঠেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ২৫০ পর্বে ‘হাবুর স্কলারশিপ’