জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তসরকারি প্যানেল হলো আইপিসিসি। জলবায়ু পরিবর্তন-সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক মূল্যায়নের জন্য জাতিসংঘের একটি সংস্থা আইপিসিসি। রাজনৈতিক নেতাদের জলবায়ু পরিবর্তন, এর প্রভাব ও ঝুঁকি-সম্পর্কিত পর্যায়ক্রমিক বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন প্রদান, সেই সঙ্গে অভিযোজন ও প্রশমন কৌশলগুলো তুলে ধরার কাজ করে আইপিসিসি। ১৯৫ সদস্যর এই সংস্থার যাত্রা শুরু ১৯৮৮ সালে। এই আইপিসিসি বৃত্তি দেয়। এ বৃত্তির অর্থ আসে ২০০৭ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রাপ্ত অর্থ থেকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অন্য দাতাদের অর্থও।

উন্নয়নশীল দেশ ও ক্রান্তিকালীন অর্থনীতির দেশগুলোর ২৪ শিক্ষার্থী সপ্তম রাউন্ডে (২০২৩-২৫) আইপিসিসি বৃত্তি পেয়েছে। ২০১১ সালে প্রথম পুরস্কারের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১৬ শিক্ষার্থী আইপিসিসির সহায়তা পেয়েছে।

আরও পড়ুনচীনের সেরা ১০ স্কলারশিপ: টিউশন ফি মওকুফ-আবাসন-চিকিৎসার সঙ্গে মিলবে মাসিক ভাতাও২৬ মার্চ ২০২৫

একজন বৃত্তি পেলে প্রতিবছর ১৫ হাজার ইউরো করে পাবেন। দুই বছর (২০২৫-২৭) এ বৃত্তি পাবেন শিক্ষার্থীরা।

আবেদনপত্রের সঙ্গে যা যা করতে হবে

জাতীয় পরিচয়পত্র।

পাসপোর্ট।

গবেষণাপ্রস্তাব (সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত)।

নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুপারিশপত্র।

ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইপ স স

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ভিনগ্রহের বস্তু নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ইলন মাস্ক

গত জুলাই মাসে শনাক্ত হওয়া রহস্যময় ‘৩আই/অ্যাটলাস’ নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুর পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে। আমাদের সৌরজগতের মধ্যে থাকা বস্তুটি এমন আচরণ করছে, যা বিজ্ঞানীরা আগে কখনো দেখেননি। কারও ধারণা এটি ধূমকেতু, আবার কারও মতে ভিনগ্রহ থেকে আসা মহাকাশযান। উৎস ও পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে না পারলেও বস্তুটি পৃথিবীর জন্য কোনো হুমকি নয় বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জ্যোতির্বিজ্ঞানী অভি লোব অভিযোগ করেছেন, নাসা বস্তুটির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করছে। বিশাল আকারের অতিদ্রুতগামী মহাজাগতিক বস্তুটি অস্বাভাবিক রাসায়নিক উপাদান নিঃসরণ করছে, যা বিজ্ঞানের প্রচলিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছে। অনেকের ধারণা, ৩আই/অ্যাটলাস কোনো কৃত্রিম উৎস থেকে তৈরি হতে পারে। এবার এই বিতর্কে নাম লিখিয়েছেন মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।

জনপ্রিয় মার্কিন পডকাস্ট দ্য জো রোগান এক্সপেরিয়েন্সে ইলন মাস্ক ৩আই/অ্যাটলাস নামের আন্তনাক্ষত্রিক বস্তু সম্পর্কে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন। বস্তুটি কোনো ভিনগ্রহের মহাকাশযান হতে পারে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ‘আপনি যদি এটিকে সম্পূর্ণ নিকেল দিয়ে তৈরি করেন, তবে তা হবে একটি অত্যন্ত ভারী মহাকাশযান। এটি এমন একটি যান হতে পারে, যা একটি মহাদেশকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে। তার চেয়েও খারাপ কিছু ঘটাতে পারে। যদি আমি ভিনগ্রহের কোনো প্রমাণ সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে কথা দিচ্ছি আপনার অনুষ্ঠানে আসব। আর এখানেই তা প্রকাশ করব।’

অভি লোবের দাবি, আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুটি পৃথিবীর ওপর নজরদারি করতে পাঠানো ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান হতে পারে। অস্বাভাবিক লেজযুক্ত বস্তুটি প্রতি সেকেন্ডে চার গ্রাম নিকেল নিঃসরণ করছে; যদিও সেখানে কোনো লোহার উপস্থিতি নেই। ধূমকেতুর ক্ষেত্রে এমন আচরণ আগে দেখা যায়নি।

জো রোগান তাঁর আলোচনায় ধূমকেতুর রহস্যময় বৈশিষ্ট্যের ওপর জোর দেন। ধূমকেতুর গ্যাসের মেঘে নিকেলের উপস্থিতি উল্লেখ করেন। এই ধাতু পৃথিবীতে প্রধানত শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত সংকর ধাতুতে পাওয়া যায়। অন্যদিকে ইলন মাস্ক নিকেলের উপস্থিতির একটি পার্থিব ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, অনেক ধূমকেতু ও গ্রহাণু প্রাথমিকভাবে নিকেল দিয়ে তৈরি। পৃথিবীতে যেখানে নিকেলখনি দেখা যায়, সেখানে আসলে অতীতে নিকেলসমৃদ্ধ কোনো গ্রহাণু বা ধূমকেতু আঘাত করেছিল।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ