জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তসরকারি প্যানেল হলো আইপিসিসি। জলবায়ু পরিবর্তন-সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক মূল্যায়নের জন্য জাতিসংঘের একটি সংস্থা আইপিসিসি। রাজনৈতিক নেতাদের জলবায়ু পরিবর্তন, এর প্রভাব ও ঝুঁকি-সম্পর্কিত পর্যায়ক্রমিক বৈজ্ঞানিক মূল্যায়ন প্রদান, সেই সঙ্গে অভিযোজন ও প্রশমন কৌশলগুলো তুলে ধরার কাজ করে আইপিসিসি। ১৯৫ সদস্যর এই সংস্থার যাত্রা শুরু ১৯৮৮ সালে। এই আইপিসিসি বৃত্তি দেয়। এ বৃত্তির অর্থ আসে ২০০৭ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রাপ্ত অর্থ থেকে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অন্য দাতাদের অর্থও।

উন্নয়নশীল দেশ ও ক্রান্তিকালীন অর্থনীতির দেশগুলোর ২৪ শিক্ষার্থী সপ্তম রাউন্ডে (২০২৩-২৫) আইপিসিসি বৃত্তি পেয়েছে। ২০১১ সালে প্রথম পুরস্কারের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১৬ শিক্ষার্থী আইপিসিসির সহায়তা পেয়েছে।

আরও পড়ুনচীনের সেরা ১০ স্কলারশিপ: টিউশন ফি মওকুফ-আবাসন-চিকিৎসার সঙ্গে মিলবে মাসিক ভাতাও২৬ মার্চ ২০২৫

একজন বৃত্তি পেলে প্রতিবছর ১৫ হাজার ইউরো করে পাবেন। দুই বছর (২০২৫-২৭) এ বৃত্তি পাবেন শিক্ষার্থীরা।

আবেদনপত্রের সঙ্গে যা যা করতে হবে

জাতীয় পরিচয়পত্র।

পাসপোর্ট।

গবেষণাপ্রস্তাব (সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত)।

নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সুপারিশপত্র।

ফাইল ছবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইপ স স

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

এশিয়া কাপে আজকের রাত যেন এক নাটকীয় অধ্যায়। ‘বি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবুধাবির মাঠে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া এই লড়াই কেবল দুই দলের নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ভাগ্যও। কোটি টাইগার সমর্থক তাই আজ তাকিয়ে থাকবে টিভি পর্দায়। কারণ, এই ম্যাচেই নির্ধারিত হবে, বাংলাদেশ কি সুপার ফোরে উড়াল দেবে, নাকি গ্রুপ পর্বেই শেষ হবে স্বপ্নযাত্রা।

গ্রুপের সমীকরণ এখন টানটান নাটকের মতো। তিন ম্যাচে পূর্ণ ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সমান ৪ পয়েন্ট থাকলেও রান রেটে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের ঝুলিতে আছে ২ পয়েন্ট; এক জয় ও এক হারের ফল। হংকং অবশ্য তিন ম্যাচেই হেরে অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে।

আরো পড়ুন:

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

আরব আমিরাতকে ১৪৭ রানের টার্গেট দিল পাকিস্তান

এখন হিসাবটা এমন—
আফগানিস্তান হেরে গেলে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই সুপার ফোরে।
আফগানিস্তান জিতলে সমীকরণ জটিল হবে। তখন শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশের পয়েন্ট সমান ৪ হলেও নেট রান রেটে স্পষ্ট এগিয়ে থাকবে আফগানরা (২.১৫০)। শ্রীলঙ্কার রান রেট ১.৫৪৬, আর বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে -০.২৭০-তে।

অর্থাৎ আফগানিস্তান যদি জেতে, তবে বাংলাদেশকে তাকিয়ে থাকতে হবে এক অসম্ভব সমীকরণের দিকে। সেটা হলো- লঙ্কানদের অন্তত ৭০ রানের ব্যবধানে হারতে হবে এবং তা করতে হবে ৫০ বল হাতে রেখে। অন্যথায় রান রেটের খেলায় পিছিয়েই থাকতে হবে টাইগারদের। তবে বৃষ্টি যদি হানা দেয় কিংবা ম্যাচ কোনো কারণে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দু’দলই নিশ্চিতভাবেই চলে যাবে সুপার ফোরে।

ম্যাচকে ঘিরে দুই শিবিরেই চাপ-উত্তেজনার আবহ। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব মনে করেন, চাপটা আসলে শ্রীলঙ্কার ওপরই বেশি, “আমরা এসব টুর্নামেন্ট খেলতে অভ্যস্ত, আমাদের কোনো চাপ নেই। শ্রীলঙ্কা ভালো দল ঠিকই, তবে তারাও চাপে থাকবে। আমার মনে হয় দারুণ একটা ম্যাচ হবে।”

অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার দাসুন শানাকা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “প্রতিটি ম্যাচই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সমর্থকরা আমাদের জয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। আমরাও জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামব।”

হংকংয়ের বিপক্ষে জিতলেও শ্রীলঙ্কাকে ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা বলছে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়টা সহজ হবে না তাদের জন্যও। শেষ পর্যন্ত কারা হাসবে জয়ের হাসিতে, আর কোন সমীকরণে দাঁড়াবে বাংলাদেশের ভাগ্য; এই প্রশ্নের উত্তরই দেবে আজকের আবুধাবির রাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ