বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামা জেটিঘাটের উত্তর পাশ থেকে কুতুবদিয়ার সাগর চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন ১৫ জন সাঁতারু। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ওপেন ওয়াটার সুইমিংয়ের (বোয়াস) আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন বোয়াসের উপদেষ্টা শিমুল চৌধুরী।
দীর্ঘ ৫ কিলোমিটারের এই কুতুবদিয়া চ্যানেলটি ২০২২ সালে আবিষ্কৃত হয়। ওই সময় তিন তরুণ সাতারু এই চ্যানেল পাড়ি দেন। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর ‘পাহাড় থেকে ডটকম কুতুবদিয়া চ্যানেল সুইমিং ২০২৫’ নামে ওয়াটার স্পোর্টস ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আয়োজক কমিটির সমন্বয়ক জিহাদ হোসেন বলেন, আমরা তরুণ প্রজন্মকে সাঁতারে উৎসাহিত ও তাদের সাহস ও শারীরিক সক্ষমতার বিকাশে কাজ করতে চাই। ভবিষ্যতে দেশের বিভিন্ন জেলায় এমন প্রতিযোগিতা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
অংশগ্রহণ কারীদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম রাসেল ১ ঘন্টা ২৫ মিনিটে, আবদুল মতিন ১ ঘন্টা ৫৫ মিনিটে ও সাখাওয়াত হোসেন সাকিব ২ ঘন্টা ৫ মিনিটে কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি দেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বাকিরা হলেন- মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবেশ রক্ষায় ‘বীজ বোমা’
পরিবেশ রক্ষায় অভিনব এক উদ্যোগ নিয়েছেন টাঙ্গাইলের তরুণ পরিবেশকর্মী ও সংগঠক মুঈদ হাসান তড়িৎ। সামাজিক সংগঠন ‘যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছেন তিনি। ‘বীজ বোমা’ নামের এক বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃক্ষরোপণের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তড়িৎ।
সাধারণত মাটি দিয়ে ছোট বলের আকারে তৈরি করা হয় ‘বীজ বোমা’। এর ভেতরে থাকে বীজ, সার ও পুষ্টিকর উপাদান। এগুলো যেকোনো উন্মুক্ত স্থানে ছুড়ে দিলেই বৃষ্টির পর তা থেকে গাছ জন্ম নিতে পারে।
মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেছেন, “আমাদের চারপাশে অনেক অনাবাদি জমি পড়ে আছে। এই জমিগুলোতে যদি আমরা সহজ পদ্ধতিতে গাছ লাগাতে পারি, তাহলে দ্রুত সবুজায়ন সম্ভব। সে ভাবনা থেকেই এই ‘বীজ বোমা’। যুবদের জন্য ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে বীজ বোমা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।”
এ উদ্যোগের মাধ্যমে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও পরিবেশ বিষয়ে সচেতন করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। তারা একত্রিত হয়ে শহরের নানা স্থানে বীজ বোমা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে যেমন গাছ বাড়ছে, তেমনই পরিবেশ সম্পর্কে তরুণদের সচেতনতাও তৈরি হচ্ছে।
পরিবেশবিদ ও সুশীলসমাজের সদস্যরা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। পরিবেশকর্মী ডা. মুজিব রহমান বলেছেন, “কম খরচে ও সহজ উপায়ে সবুজায়নের কার্যকর পদ্ধতি বীজ বোমা। যদি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ উদ্যোগে সহায়তা করে, তাহলে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব।”
এছাড়া, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে মাত্র ১০ টাকায় ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন তড়িৎ ও তার সংগঠন। শতাধিক মানুষ পছন্দের গাছ মাত্র ১০ টাকায় ক্রয় করেছেন এ উদ্যোগ থেকে।
তড়িতের এ উদ্যোগ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। অনেকে প্রশংসা করছেন এই অভিনব চিন্তার এবং একে আরো বড় পরিসরে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পরিবেশ রক্ষায় এক পা সামনে এগিয়েছে তড়িতের ‘বীজ বোমা’। এখন সবার এগিয়ে আসার সময়।
ঢাকা/কাওছার/রফিক