অধূমপায়ীদের সুরক্ষায় ঢাকা বিভাগের জেলা প্রশাসকদের অফিস প্রাঙ্গণকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা এবং ধূমপায়ীদের জন্য নির্ধারিত কোন স্থান থাকলে তা সরিয়ে ফেলার আদেশ জারি করায় ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে অভিনন্দন জানিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।

 রোববার সকালে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে এই অভিনন্দন জানায়।
 
এ সময় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা.

সোহেল রেজা চৌধুরী গ্যাটস্ ২০১৭ এর তথ্য দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৪ জন পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। একই সঙ্গে প্রতিদিন কর্মক্ষেত্র, রেস্টুরেন্ট এবং গণপরিবহনে ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।এমতাবস্থায় অধূমপায়ীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঢাকা বিভাগের জেলা প্রশাসকদের অফিস প্রাঙ্গণকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা এবং ধূমপায়ীদের জন্য নির্ধারিত কোন স্থান থাকলে তা সরিয়ে ফেলার অফিস আদেশ জারির বিষয়টি তামাক নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এ সময় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সমন্বয়ক ডা. অরুনা সরকার ও সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর উপস্থিত ছিলেন। 

এর আগে গত মঙ্গলবার ঢাকা বিভাগের জেলা প্রশাসকের অফিস প্রাঙ্গণকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করা; ‘অফিস প্রাঙ্গণ ধূমপানমুক্ত’ মর্মে যথাযথ উন্মুক্ত স্থানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সাইনবোর্ড প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা এবং অফিস ভবনে ধূমপায়ীদের জন্য নির্ধারিত কোন স্থান থাকলে তা সরিয়ে ফেলার অফিশিয়াল আদেশ জারি করা হয়। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার নাশিতা-তুল ইসলাম স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অফ স প র ঙ র অফ স

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ