জানুয়ারিতে মহাআয়োজন করে সান্তোস ফিরিয়ে এনেছিল তাদের এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার জুনিয়রকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ব্রাজিলায়ান ক্লাবটি ফেরাতে পারে সাবেক কোচ হর্হে সাম্পাওলিকে। এই ৬৫ বছর বয়সী কোচও গত দেড় দশকে সান্তোসের সবচেয়ে সফল কোচ ম্যাচ জয়ের হিসেবে।

সান্তোস সম্প্রতি পর্তুগিজ কোচ পেদ্রো কাইসিনহাকে বরখাস্ত করেছে। এরপরই সাম্পাওলিকে ফেরানোর আলোচনা শুরু হয়েছে। আগের ধাপে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদকালে অসাধারণ সাফল্যের কারণে এই চিলিয়ান কোচের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন ভক্তদের মধ্যে রোমাঞ্চের সৃষ্টি করেছে।

নেইমার এখন সান্তোসে। ফলে সাম্পাওলি ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটিতে ফিরলে, আবারও সুযোগ পাবেন শীর্ষ মানের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কাজ করার। এর আগে এই চিলিয়ান কোচ লিওনেল মেসির সঙ্গে কাজ করেছিলেন আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ থাকাকালীন। তাঁর অধীনেই ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ খেলে আলবিসেলেস্তারা।

আরো পড়ুন:

বার্সেলোনা নয়, মেসি থাকছেন মায়ামিতেই

মেসি ম্যাজিকে সেমিফাইনালে মায়ামি

সান্তোসের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো তেইশেইরার নেতৃত্বে যখন নতুন কোচের ব্যাপারে আলোচনা চলছে। তখনই সাম্পাওলির নাম উঠে আসে। তিতে ও ডোরিভাল জুনিয়রের মতো কয়েকজন অভিজ্ঞ ও সুনামধন্য কোচকে প্রস্তাব দিলেও তারা রাজি হননি। অন্যদিকে ক্লাবটির বোর্ডের একটি অংশ সাম্পাওলির ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। এই ৬৫ বছর বয়সী কোচ স্কোয়াডে বড় বিনিয়োগের ব্যাপারে বলেছেন। এছাড়াও তার কঠিন কোচিং করানোর কৌশলের জন্যও কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। তবুও, প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি শীর্ষ পছন্দ হিসেবে রয়েছেন।

সাম্পাওলি ফ্রেঞ্চ ক্লাব রেঁনেতে ও দ্বিতীয় ধাপে সেভিয়াতে ব্যর্থতার পর ২০২৩ সালে ফ্ল্যামেঙ্গোতে চলে আসেন নতুন কোচিং দায়িত্ব নিয়ে। এছাড়াও তিনি ব্রাজিলিয়ান ক্লাব অ্যাটলেটিকো মিনেইরোকেও কোচিং করিয়েছেন।

সান্তোসের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বলেছিলেন সাম্পাওলি বলেন, “সান্তোস এবং সান্তিসতা জাতি, যারা আমাকে এত ভালোবাসার সাথে স্বাগত জানিয়েছে, তাদের প্রতি আমি কেবল জন্মদিনের শুভেচ্ছাই জানাই না, বরং একই সাথে বিশ্ব ফুটবলের এই বিশাল জায়গাটির জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ পুনর্গঠনও আশা করি। যাতে এটি আবারও তার প্রাপ্য আনন্দ উপভোগ করতে পারে, যার সাথে তারা সর্বদা অভ্যস্ত।”

ব্রাজিলের ক্লাবগুলোতে আর্জেন্টাইন কোচদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে লুইস সুবেলদিয়া (সাও পাওলো), হুয়ান পাবলো ভয়ভোদা (ফর্টালেজা), র‍্যামন দিয়াজ (করিন্থিয়ান্স) এবং গুস্তাভো কিনতেরোস (গ্রেমিও) দলের দায়িত্বে আছেন।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর