বন্দরে পুলিশ পাহাড়ায় যুবলীগ নেতার অনুমোদন বিহীন হাসপাতাল উদ্বোধন
Published: 15th, April 2025 GMT
নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর প্রকাশ্যে গুলিবর্ষণকারি বন্দরে যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের মালিকানাধীন নবনির্মিত বহুতল ভবনে অনুমোদন বিহীন হাসপাতালটি অবশেষে পুলিশ পাহাড়ায় উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ)র একাধিক নেতৃবৃন্দ পরিচালনায় মদনপুর স্পেশালাইজড হসপিটাল নামে এ হাসপাতালটি শুভ উদ্বোধন করা হয়।
বন্দর উত্তরাঞ্চলের শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা অহিদের অবৈধ অর্থে গড়ে তোলা এ বহুতল ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতারা আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে উপস্থিতি বিষয়ে তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হওয়ায় শীর্ষ নেতারা এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন অঙ্গ সংগঠন স্বাচিপ নেতৃবৃন্দের পরিচালিত অনুমোদন বিহীন হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন, ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মফিজুর রহমান। পুলিশ পাহাড়ায় যুবলীগ নেতার ভবন উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠান ঘিরে স্থানীয় লোকজন ও তৃণমূল বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে সমালোচনার ঝড়।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের সহচর ও ছাত্র-জনতা হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামি অহিদুজ্জামান অহিদের অবৈধ অর্থে নবনির্মিত মদনপুর স্পেশালাইজ্ হসপিটাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.
স্থানীয় ও বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, বিগত আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় ক্ষমতাবলে অহিদুজ্জামান অহিদ মদনপুর এলাকায় গড়ে তোলে এক অস্ত্রধারি সন্ত্রাসী বাহিনী। অহিদের নেতৃত্বে এ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে মদনপুর এলাকা সহ উত্তরাঞ্চলের মদক, চাঁদাবাজি, দখল, ছিনতাই সহ নানা অপকর্ম।
৫ আগস্টের পর বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের সেল্টারে যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ পুণবহালে। ইয়াবা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো পূর্বের ঘটনা পূনরায় ঘটনার আশঙ্কায় আতঙ্কিত স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলা ও ছাত্র হত্যা সহ একাধিক মামলার আসামি যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ অদৃশ্য ইশারায় বহাল তবিয়তে। এ অদৃশ্য শক্তিতে পূর্বের ন্যায় ধামগড় পুলিশ ফাঁড়ি তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ন্ত্রিত বলে অভিযোগ উঠেছে।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতির হিরণ বলেন, বিএনপি শীর্ষ নেতাদের নাম পদবি লিখে অহিদ নিজেই দাওয়াত কার্ড ছাপিয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। তারপর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি বিষয়ে বিএনপির নেতারা কেউ অবগত ছিলেন না বলে তিনি জানিয়েছেন।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মাহাবুব জানান, মদনপুর স্পেশালাইজড হসপিটাল নামে হাসপাতালটির অনুমোদনের জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়েছে। পর্যায়ে ক্রমে অনুমোদনের আশাবাদী।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে ঘিরে হাসপাতাল ভাংচুর হামলা হতে পারে এমন একটি তথ্যের ভিত্তিতে আপত্তিকর ঘটনা এড়াতে পাহাড়ায় ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন, ডাঃ এ এফ এম মশিউর রহমান বলেন, বন্দরের মদনপুর এলাকায় স্পেশালাইজ্ হসপিটাল লিমিটেড হাসপাতালের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে কি না খোঁজ নিয়ে বলা যাবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বল গ ন র য়ণগঞ জ য বল গ ন ত ন ত কর ম অন ষ ঠ ন ব এনপ র হসপ ট ল মদনপ র এক ধ ক
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।