গাজায় গিয়ে নেতানিয়াহু বললেন, ‘আরও আঘাতের’ শিকার হবে হামাস
Published: 15th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিরল সফর করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার তিনি এ সফর করেন বলে জানিয়েছে তাঁর কার্যালয়। এমন সময় নেতানিয়াহু গাজা সফর করলেন, যখন উপত্যকাটিতে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার উত্তর গাজা সফর করেন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। টাইমস অব ইসরায়েলের খবর অনুযায়ী, গাজা সফরে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আরও আঘাতের’ শিকার হবে হামাস।
ইসরায়েলি সেনাদের ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির একটি পোস্ট দেখান নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইরানের নেতা আবারও ইসরায়েলকে ধ্বংসের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার সময়ও তিনি একই কাজ করছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংসতা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। পরে ১৯ জানুয়ারি উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। ১৮ মার্চ সেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবারও ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। তখন থেকে গাজার বড় অংশ দখল করেছে তারা। হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে আবারও বাড়িঘর ছেড়ে পালানো শুরু করেছেন ফিলিস্তিনিরা।
নেতানিয়াহুসহ ইসরায়েলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভাষ্য, একমাত্র সামরিক চাপ দিয়েই হামাসের হাতে বন্দী জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ইসরায়েল সরকারের হিসাবে, ২৫১ জিম্মির মধ্যে গাজায় এখনো ৫৮ জন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৪ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনমালদ্বীপে ইসরায়েলিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা৫ ঘণ্টা আগেগাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ১৮ মাসের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকাটিতে অন্তত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ জন। বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন‘আমাকে ক্ষমা করো মা’, নিহত হওয়ার আগমুহূর্তে কেন বলেছিলেন রিফাত রাদওয়ান১০ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫