ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে চবির ৫ শিক্ষার্থী অপহরণের অভিযোগ
Published: 16th, April 2025 GMT
রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে বিঝু উৎসব উদযাপন শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। অপহরণকারীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফন্টের (ইউপিডিএফ) নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় ভূবন চাকমা নামে চবির এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্ট থেকে বিষয়টি জানা গেছে। পোস্টের পরপরই এ নিয়ে তুমুল আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চারুকলা বিভাগের মৈত্রীময় চাকমা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের রিশন চাকমা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো এবং চারুকলা বিভাগের অলড্রিন ত্রিপুরা। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরো পড়ুন:
চবি কর্মচারীদের নির্ধারিত পোশাক পরিধানে বাধ্যবাধকতা
চবিতে নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল
চবি শিক্ষার্থী ভূবন চাকমা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “বাঘাইছড়িতে বিঝুতে বেড়াতে এসেছিল তারা। মূল বিঝুর দিনে তারা আমার বাড়িতে ছিল। গতকাল (মঙ্গলবার) তারা চট্টগ্রামের টিকেট না পেয়ে বাঘাইছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি যায়। কিছুক্ষণ আগে খবর পাই, আজ (বুধবার) সকাল সাড়ে ৬টায় খাগড়াছড়ি থেকে চবি ক্যাম্পাসে ফেরার পথে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে তাদের অপহরণ করেছে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসীরা। সেইসঙ্গে টমটম চালককেও তুলে নিয়ে গেছে।”
তিনি আরো লেখেন, “তাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চাই। ইউপিডিএফের এ নোংরা রাজনীতি কবে বন্ধ হবে?”
ভূবন চাকমার সঙ্গে কথা বলে তার পোস্টের সত্যতা নিশ্চিত করা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, “চবির পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে অপহরণের বিষয়টি কিছুক্ষণ আগে শুনেছি। পাহাড়ের আঞ্চলিক একটি সংগঠন জড়িত থাকতে পারে। আমরা মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”
তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপিডিএফের কোনো নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।