ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে পাঁচ গান
Published: 17th, April 2025 GMT
গেল কয়েক সপ্তাহে চলচ্চিত্রের গানের পাশাপাশি কয়েকজন গায়ক-গায়িকার গান প্রকাশিত হয়েছে ইউটিউবে। আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে রয়েছে কোন গানগুলো, একনজরে দেখে নিতে পারেন ট্রেন্ডিংয়ে থাকা গানগুলো।
‘চাঁদ মামা’
প্রকাশের ২০ দিনে ইউটিউবে আড়াই কোটি ভিউ পার করেছে ‘বরবাদ’ সিনেমার ‘চাঁদ মামা’ গানটি। ৩ মিনিট ৩ সেকেন্ড ব্যাপ্তির গানটি কথা-সুর করার পাশাপাশি এতে কণ্ঠ দিয়ে প্রীতম হাসান। তাঁর সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন দোলা রহমান। ইউটিউবে ১ কোটি ৫৯ লাখের বেশি এবং প্রীতম হাসানের ইউটিউব থেকে ১ কোটি ১ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে। দুটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ পাওয়ায় গানটি ড্রেন্ডিংয়ে এক ও দুই নম্বরে অবস্থান করছে।
‘তুমি আমায় ভালোবাসো’
প্রথমবার জনপ্রিয় টিভি শো ‘ইত্যাদি’তে গান গেয়ে বাজিমাত করেছেন নায়ক সিয়াম আহমেদ। ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে ‘তুমি আমায় ভালোবাসো’ শিরোনামে সিয়ামের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। এই দুই শিল্পী একসঙ্গে কখনও অভিনয় না করলেও ইত্যাদিতে তারা একসঙ্গে গাইলেন একটি চমৎকার রোমান্টিক গান। গানটির কথা লিখেছেন কবির বকুল, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল। গেল ৫ এপ্রিল গানটি প্রকাশ্যের পর আজ বিকেল পর্যন্ত ৫৬ লাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ এটি দেখে। ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এটি তিন নম্বরে রয়েছে।
‘কন্যা’
এবার ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমার গানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল নুসরাত ফারিয়া-ও সজলের ‘জ্বীন ৩’ ছবির গান ‘কন্যা’। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা। কণ্ঠের পাশাপাশি ‘কন্যা’র সুর সংগীতও করেছেন ইমরান। ১৭ মার্চ গানটি ইউটিউবে প্রকাশ করা হয়। প্রকাশে কয়েকদিন পরই এটি ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে। ৩০ দিন পরও গানটি ইউটিউবের ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গানটি ভিউ পেয়েছে ১ কোটি ৫১ লাখ ৪১ হাজারের বেশি। বর্তমানে এটি ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে এটি রয়েছে চার নম্বরে।
‘ঈদ মোবারাক’
গেল ২৪ মার্চ প্রকাশ পায় ‘ঈদ মোবারাক’ শিরোনামে একটি গান। গত ২৪ দিনে ৬৮ লাখ ১৬ হাজারের বেশি দেখেছে সিথি খানের গাওয়া গানটি। হানিফ খানের লেখা ও আহমেদ সজীবের সংগীত আয়োজনে গানটি বর্তমানে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স য় ম আহম দ প র তম হ স ন
এছাড়াও পড়ুন:
৭ উপাচার্যের অংশগ্রহণে গোবিপ্রবিতে শিক্ষা সমাপনী
গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) নবম ব্যাচের (নবনীতক ৯) শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষা সমাপনী-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীদের বিদায় বেলায় এক মঞ্চে আসীন হন দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান সাত উপাচার্য।
বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টায় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে আনন্দঘন পরিবেশে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর ছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল আওয়াল, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক।
আরো পড়ুন:
নতুনবাজারের সেই রনির বুলেটের যন্ত্রণা আজো থামেনি
শিশু ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন, মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
এক মঞ্চে একইসঙ্গে এতজন উপাচার্যকে পেয়ে সমাপনী ব্যাচসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “এভাবে একসঙ্গে পুরো সেশনের শিক্ষা সমাপনী আয়োজনের আইডিয়াটি অত্যন্ত চমৎকার। এতে করে একটি ব্যাচের একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রবেশ ঘটে। যেখানে সবার একসঙ্গে পরীক্ষা হয়, রেজাল্ট প্রকাশ হয় এবং কোনো সেশন জট থাকে না। আমি এই আইডিয়াটি আমার নিজ বিশ্ববিদ্যালয়েও বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”
খুলনা কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল আহসান বলেন, “আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ এখানে এসেছি সংহতি জানানোর জন্য। আমি নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের জীবনে সফলতা কামনা করছি।”
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিসিএস দেওয়া, বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করা বা ব্যবসা করার লক্ষ্য থাকে। তবে জীবনে কোনো না কোনো কিছু করতেই হবে। এক্ষেত্রে অবসর বলে কোনো শব্দ থাকা উচিত নয়।”
পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, “আমি যখন দেশের বাইরে পড়াশোনা করতাম, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আমি কখনোই দেখিনি। আর বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে কখনো একসঙ্গে সাতজন উপাচার্যকেও বসতে দেখিনি, এটা অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর করে দেখিয়েছেন।”
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, “আমরা যদি আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিতে চিন্তা করি, আমাদের চাকরি খোঁজার পাশাপাশি এমন কিছু করার মানসিকতা রাখতে হবে, যা দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।”
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আতিয়ার রহমান বলেন, “শিক্ষা সমাপনী মানেই সব সম্পর্ক ছিন্ন করা নয়। বিশ্বে এমন অনেক নজির আছে, যেখানে অ্যালামনাই থেকে উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। তাই নিজেকে বিস্তৃত পরিসরে মেলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব নিতে হবে।”
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিজেকে চেনাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। আর শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনই বলে দেবে, তারা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কতটা জ্ঞান অর্জন করেছে।”
প্রধান অতিথিরি বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর আগত উপাচার্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্যই আমাদের এই প্রয়াস। একইসঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি তুলে ধরাও আমাদের লক্ষ্য। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায় এবং অচিরে দাঁড়াবেই।”
তিনি বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে ইউজিসির দুইটি হিট প্রকল্প পেয়েছি এবং ভবিষ্যতে আরো পাব। আমরা আশা করছি, বি ক্যাটাগরি থেকে আগামী অর্থবছরের আগেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টি এ ক্যাটাগরিতে উন্নীত হবে।”
গোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসানের সভাপতিত্বে এতে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, সব অনুষদের ডিন, বিভাগীয় সভাপতি ও প্রাধ্যক্ষগণ, দপ্তর প্রধানগণ, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, জুলাই শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
শিক্ষা সমাপনী উপলক্ষে বুধবার ছাত্রদের কালার ফেস্ট ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় একটি কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা/রিশাদ/মেহেদী