প্রথমবার সরকারপ্রধানের রাষ্ট্রীয় সফরসঙ্গী হচ্ছেন নারী ক্রীড়াবিদরা
Published: 17th, April 2025 GMT
আসন্ন কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন বাংলাদেশের চার জাতীয় নারী ক্রীড়াবিদ।
ফুটবলার আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যাচ্ছেন।
এই ঘটনা বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধানের রাষ্ট্রীয় সফরের ক্ষেত্রে এক অনন্য নজির। এর আগে কোনো সরকারপ্রধানের সঙ্গে নারী ক্রিড়াবিদরা সফরসঙ্গী হননি।
আরো পড়ুন:
টিভিতে আজকের খেলা
এমবাপ্পের লাল কার্ড, এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তার সফরসঙ্গী হতে যাওয়া আফিদাসহ চার ক্রীড়াবিদ। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তাদের কাতার সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে কাতার ফাউন্ডেশন।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন রিপা-শারমিনরা।
তারা বলেন, এই সফরের আমন্ত্রণ পেয়ে তারা ভীষণ আনন্দিত। তাদের টিমমেটরাও আমন্ত্রণের খবরে উচ্ছ্বসিত।
নারী ফুটবলাররা জানান, দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এশিয়ার অন্য দলের সঙ্গে ম্যাচ খেলার খুব একটা সুযোগ তাদের হয় না। তারা কাতার নারী টিমকে তাদের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলার আমন্ত্রণ জানাতে চান। এই সফরে তারা তাদের স্পোর্টস ফ্যাসিলিটিসগুলো ঘুরে দেখতে চান। তাদের প্রফেশনাল চিন্তাভাবনাগুলো জেনে আসতে চান তারা।
নারী ক্রিকেটাররা প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, কাতারে ক্রিকেট তেমনটা জনপ্রিয় নয়। তারা এই সফরে ক্রিকেট নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহ তৈরির চেষ্টা করবেন। বাংলাদেশের পুরুষ ক্রিকেট দল ও নারী ক্রিকেট দলের গল্পগুলো তুলে ধরা হবে। এ জন্য একটি প্রেজেন্টেশন তৈরি করে নিয়ে যাবেন তারা।
বৈঠকে নিজেদের জীবনসংগ্রামের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান চার নারী ক্রীড়াবিদ। সরকারপ্রধানের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় সফরের সুযোগ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান তারা।
তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা ও কাতার সফর নিয়ে পরিকল্পনা শুনে ব্যাপক উৎসাহ দিয়ে তাদের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা তাদের বলেন, “আমি চাই, তোমরা তোমাদের জীবনের সত্যিকারের কথাগুলো তাদের (কাতার) কাছে তুলে ধরবে। তোমরাই এই দেশের স্পোর্টস অ্যাম্বাসেডর। সেখানে তোমরা এ দেশের স্পোর্টসের প্রতিনিধিত্ব করবে। তোমাদের এ রাষ্ট্রীয় সফরে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারে আমিও ভীষণ আনন্দিত।”
নারী ক্রীড়াবিদদের এই সফর সফল করতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে বলেও আশ্বাস দেন অধ্যাপক ইউনূস।
আর্থনা সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার (২১ এপ্রিল) চার দিনের সফরে কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা।
ঢাকা/হাসান/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল র ষ ট র য় সফর সফরসঙ গ ত র সফর সফর র
এছাড়াও পড়ুন:
ভারত–পাকিস্তান লড়াই: একসময় আগুন জ্বলত, এখন শুধু ধোঁয়া
ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটীয় সম্পর্ক সব সময়ই দুই দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কৌশল অনুযায়ী এগিয়েছে।
অতীতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে লম্বা বিরতি দেখা গেছে। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭৮—টানা ২৪ বছর পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। আবার ১৯৬০ সালের পর পাকিস্তানও প্রথমবারের মতো ভারতে খেলতে যায় ১৯৭৯ সালে।
এরপর ১৯৮২ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত ভারত-পাকিস্তান নিয়মিত মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ভারত তিনবার পাকিস্তান সফরে গিয়ে খেলে ১২ টেস্ট, পাকিস্তানও ভারতে গিয়ে খেলে ৮ টেস্ট।
দীর্ঘ বিরতির পর ১৯৯৯ সালে পাকিস্তান তিন টেস্ট খেলতে ভারতে যায়। এর মধ্যে একটি ছিল কলকাতার ইডেন গার্ডেনে প্রথম এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। ভারত ফিরতি টেস্ট সিরিজ খেলতে পাকিস্তানে যায় ২০০৪ সালে, যা ছিল ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকারের অভিষেকের পর প্রথমবার।
২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরে কড়া নিরাপত্তায় ব্যাটিংয়ে নামেন শচীন টেন্ডুলকার