শহীদ নূর মোস্তফার স্বীকৃতির দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন
Published: 17th, April 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ নূর মোস্তফার স্বীকৃতি এবং তার পরিবারকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব প্রদানের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মানববন্ধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যের পাদদেশে স্টুডেন্টস এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি এন্ড জুলাই রেকর্ডস এর উদ্যোগে এ মানববন্ধন করা হয়েছে ।
এ সময় ঢাবির বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক, একজন জুলাই শহীদের স্বীকৃতির জন্য আমাদের রাজপথে নামতে হয়েছে। যে জাতি বীরদের স্বীকৃতি দিতে জানে না, সেই জাতি থেকে আর কোনো বীর জন্ম নেয় না। আমরা দেখেছি, কিছুদিন পূর্বে শহীদ হওয়া হৃদয় কোনো সরকারি সাহায্য পায়নি। অনেক পরিবার ঋণ করে আহত জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা করাচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
ঢাবিতে কোভিডবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত
ঢাবিতে হামলায় জড়িতদের শনাক্তে শিক্ষার্থীদের ছায়া কমিটি
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা জুলাই যোদ্ধাদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন এবং অবিলম্বে জুলাইয়ে গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।”
‘জুলাই ম্যাসাকার আর্কাইভ’ এর সদস্য হাসান এনাম বলেন, “এটি এই জাতির জন্য লজ্জার যে একজন জুলাই শহীদের স্বীকৃতির জন্য আমাদের রাজপথে নামতে হচ্ছে, মানববন্ধন করতে হচ্ছে, স্মারকলিপি দিতে হচ্ছে। আমরা জেনেছি জুলাইয়ের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটি শহীদ নূর মোস্তফার নাম শহীদদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। আমরা তাদের কাছে এর কারণ জানতে চাই। যে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে জুলাই শহীদদের স্বীকৃতি দেওয়া হয় না, সেই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দিয়ে আমরা কি করবো?”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বলেন, “আমরা পূর্বেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শহীদ নূর মোস্তফার স্বীকৃতির জন্য স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। এছাড়াও তার পরিবারকে সম্মানসূচক নাগরিকত্বের দাবি জানিয়েছিলাম। জুলাই শহীদদের এবং আহতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব।”
গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ আগস্ট শহীদ হন নূর মোস্তফা। তার পরিবারের পূর্ব নিবাস মায়ানমারে হলেও জন্ম বাংলাদেশে। এমনকি তার বাংলাদেশী জন্মসনদও রয়েছে। কিন্তু এরপরও তাকে রোহিঙ্গা হিসেবে আখ্যায়িত করে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত র জন য পর ব র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
১ কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেনর এক কোটি শিশু শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে বন্দরে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শিক্ষক-শিক্ষকারা।
সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১টায় বন্দর উপজেলা কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বন্দর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবারে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।
মানববন্ধরে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের প্রধান এ এইচ এম শামীম আহমেদ, মহাসচিব সিদ্দিকুর রহমান, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম রুবেল, শিক্ষক হাসান কবির, আনোয়ার হোসেন, আরিফ হোসেন, মাহবুব আলম, শামীমা আক্তার বর্ণা, রোকসানা আক্তার প্রমুখ।
বক্তরা বলেন, বাংলাদেশে ৬৫ হাজার ৭শ’ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। যা দেশেরন ৫০ শতাংশ শিক্ষার চাহিদা পূরণ করে থাকে। আর এ সকল স্কুলে প্রায় ১ কোটির অধিক শিশু শিক্ষার্থী লেখা পড়া করে। আর ৫ম শ্রেণীতে প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। যারা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সরকারি বৃত্তিতে অংশ নিয়েছে।
কিন্তু গত ১৭ জুলাই বর্তমান সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বৃত্তিতে অংশ গ্রহণ বাতিল করে। যার কারণে ১ কোটি শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার মুখে পতিত হয়েছে।
বক্তরা আরো বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ১৭ অনুচ্ছেদে দেশের সকল শিশুদের সমান অধিকার দেয়া হয়েছে। বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিশুদের বুত্তিতে অংশগ্রহণ করতে না দেয় মানে সংবিধানের ও মানবাধিকার লঙ্ঘন। আমরা এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। যাতে শিশুরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।