বগুড়া পলিটেকনিকের ১৩ ক্রাফট ইন্সট্রাকটরকে কোয়ার্টার ছাড়তে আল্টিমেটাম
Published: 19th, April 2025 GMT
বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কোয়ার্টারে থাকা ১৩ জন ক্রাফট ইন্সট্রাকটরকে কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাতে তারা এই আল্টিমেটাম (সময়সীমা) দেন।
শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবির মধ্যে ছিল ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের পদোন্নতি বন্ধ রাখা। কিন্তু উচ্চ আদালত ক্রাফট ইন্সট্রাটকরদের জুনিয়র ইন্সট্রাকটর হিসেবে পদোন্নতি দিতে রায় দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ রায় মানছেন না।
পলিটেকনিকের সিভিল সপ্তম বর্ষের ছাত্র বেলাল হোসেন বলেন, ক্রাফট ইন্সট্রাকটররা ব্যবহারিক ক্লাস নিয়ে থাকেন। তারা কোনোভাবে জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য নন। ক্রাফট ইন্সট্রাকটররা আমাদের আন্দোলন নস্যাৎ করার চেষ্টা করছেন। এ কারণে তাদের কোয়ার্টার ছাড়তে বলা হয়েছে। কোয়ার্টার না ছাড়লে তাদের জোর করে বের করে দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ক্রাফট ইন্সট্রাকটর জাহিদুর রহমান বলেন, আমাদের হঠাৎ বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের আন্দোলনের বিষয়ে কোনো বিরোধিতা করছি না। সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে তা মেনে নেব।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?
ইরানকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিনই দেশটিতে ভয়াবহ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। আজ শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই ওই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার বিষয়ে একটি চুক্তিতে রাজি হতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে পৌঁছাতে ওয়াশিংটন–তেহরান আলোচনা সফল করতে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ইরান চুক্তি নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। সেদিন থেকেই এই ৬০ দিনের সময়সীমা গণনা শুরু হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ জুন ইসরায়েল হামলা চালাল ইরানের অন্তত ৮টি শহরে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ সিএনএনের সাংবাদিক ডানা বাসকে বলেন, ‘আমার কথা শোনা উচিত ছিল ইরানের। যখন আমি বলেছিলাম—আপনি জানেন, আমি ওদের ৬০ দিনের এক সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আপনি জানেন কি না, জানি না, কিন্তু আমি ওদের ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম, আর আজ ৬১তম দিন।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির উদ্দেশে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প ইরানকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বছরের শুরুর দিকে ফক্সনিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিঠির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, ইরান আলোচনায় আসবে—আমি তাদের চিঠি লিখে জানিয়েছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, আমাদের যদি সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে সেটা ইরানের জন্য ভয়াবহ হবে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, সেটা ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’
ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং আলোচনায় জড়িত ব্যক্তিরা জানতেন যে সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আলোচনা চলবে। কিন্তু এখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর পর এই আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে—যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিচ্ছেন।