বগুড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের কোয়ার্টারে থাকা ১৩ জন ক্রাফট ইন্সট্রাকটরকে কোয়ার্টার ছেড়ে দিতে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার রাতে তারা এই আল্টিমেটাম (সময়সীমা) দেন। 

শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবির মধ্যে ছিল ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের পদোন্নতি বন্ধ রাখা। কিন্তু উচ্চ আদালত ক্রাফট ইন্সট্রাটকরদের জুনিয়র ইন্সট্রাকটর হিসেবে পদোন্নতি দিতে রায় দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ রায় মানছেন না।

পলিটেকনিকের সিভিল সপ্তম বর্ষের ছাত্র বেলাল হোসেন বলেন, ক্রাফট ইন্সট্রাকটররা ব্যবহারিক ক্লাস নিয়ে থাকেন। তারা কোনোভাবে জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে পদোন্নতি পাওয়ার যোগ্য নন। ক্রাফট ইন্সট্রাকটররা আমাদের আন্দোলন নস্যাৎ করার চেষ্টা করছেন। এ কারণে তাদের কোয়ার্টার ছাড়তে বলা হয়েছে। কোয়ার্টার না ছাড়লে তাদের জোর করে বের করে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ক্রাফট ইন্সট্রাকটর জাহিদুর রহমান বলেন, আমাদের হঠাৎ বের হয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। কিন্তু আমরা তাদের আন্দোলনের বিষয়ে কোনো বিরোধিতা করছি না। সরকার যে সিদ্ধান্ত দেবে তা মেনে নেব।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।

ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।

রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
  • ট্রাম্প কি রাজার শাসন চালাচ্ছেন