কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন, সামান্য ত্রুটির তাৎক্ষণিক সমাধান
Published: 19th, April 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৯ হাজার ৯৫২ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৭ হাজার ৬৪৬ জন পরীক্ষা দিয়েছেন, যা শতাংশের হিসাবে উপস্থিতির হার ৭৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আজ বেলা তিনটায় এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া ২৫ এপ্রিল বিকেল চারটায় বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গুচ্ছপদ্ধতি থেকে বের হয়ে চার বছর পর নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সি ইউনিটের (ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ) পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সি ইউনিটের ২৪০টি আসনের বিপরীতে ৯ হাজার ৯৫২টি আবেদন জমা পড়ে। ফলে আসনপ্রতি প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল ৪১ শিক্ষার্থীর।
আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল এড়াতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করণীয় ও সতর্কতা৩ ঘণ্টা আগেসি ইউনিটের পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ বলেন, ‘পরীক্ষার সার্বিক পরিস্থিতি অনেক ভালো ছিল। সামান্য কিছু ত্রুটি থাকলেও সেগুলো আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করেছি। সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
ফেনী থেকে পরীক্ষা দিতে আসা রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘পরীক্ষা খুবই ভালো হয়েছে। প্রশ্নপত্রও ভালো হয়েছে। চান্স পাব বলে আশা করছি।’
তৌহিদ হোসেন নামের আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘পরীক্ষার প্রশ্ন তুলনামূলক সহজ হয়েছে। আমার প্রস্তুতি কম থাকার পরও পরীক্ষা মোটামুটি ভালো হয়েছে। আশা করছি, এখানে টিকে যাব।’
আরও পড়ুনকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১৯ ও ২৫ এপ্রিল, মানতে হবে ৭টি নিয়ম১৮ এপ্রিল ২০২৫বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় এবার প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৪। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৩০টি আসনের বিপরীতে এ, বি ও সি—তিনটি ইউনিটে মোট আবেদন জমা পড়েছে ৬৬ হাজার ৪০২টি। এবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, কোটবাড়ী এলাকাসহ কুমিল্লা নগরের ৩০টি কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই বছর এ ইউনিটে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) ৩৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৩২ হাজার ৬৫৮ শিক্ষার্থী। প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ৯৩ জন। এ ছাড়া বি ইউনিটের (কলা, মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে ২৫ এপ্রিল বিকেল চারটায়। এই ইউনিটে ৪৪০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২৩ হাজার ৭৯২ জন। এতে প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ৫৪ শিক্ষার্থী।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আসন র ব পর ত অন ষ ঠ ত পর ক ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে
চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্র্যাক ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। এপ্রিল–জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছরের একই সময় যা ছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।
এ ছাড়া বছরের প্রথম ছয় মাসেও ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আগের বছর যা ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা, অর্থাৎ বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। মূলত ব্যাংকের বিনিয়োগ ও সুদ আয় বৃদ্ধির কারণে ইপিএস বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক ঘোষণায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, জানুয়ারি-জুন সময়ে শেয়ারপ্রতি নিট নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ২৪ পয়সা, আগের বছর যা ছিল ৩০ টাকা ৯৯ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আমানত সংগ্রহ ও ব্যাংকঋণ বৃদ্ধির কারণে নগদ প্রবাহ বেড়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় ঋণ বিতরণে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে।
অন্যদিকে ৩০ জুন ২০২৫ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদের মূল্য (এনএভি) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৬০ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর যা ছিল ৩৯ টাকা ৩৮ পয়সা। নিট মুনাফা ও সরকারি সিকিউরিটিজের পুনর্মূল্যায়নের ফলে এ বৃদ্ধি হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
২০২৪ সালের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ও ১২ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক। ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে আগের বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে। ফলে তাদের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) হয়েছে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, ২০২৩ সালে যা ছিল ৮২৮ কোটি টাকা। একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৪ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ।