ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৬
Published: 19th, April 2025 GMT
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় গতকাল শুক্রবার অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের ছয়জন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেপ্তার হওয়া ছয়জন হলেন, পল্লবী থানা ছাত্রলীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিপন হোসেন, ঢাকার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সহসভাপতি শেখ মো.
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পল্লবী থানার বাউনিয়া এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবির মিরপুর বিভাগের একটি দল।
অন্যদিকে মহানগর গোয়েন্দা সাইবার বিভাগের একটি দল যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিপন হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া ডিবির ওয়ারি বিভাগের একটি দল কদমতলী থানার মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে শেখ মো. সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে।
ডিবির সাইবার বিভাগের একটি দলের হাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন সোহেল রানা ও মোহাম্মদ ইয়ামিন। আর শাহ আলী এলাকা থেকে আবুল বাশার খান গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ছ ব ভ গ র একট
এছাড়াও পড়ুন:
সংস্কারের প্রশ্নে ব্যক্তি–দলের স্বার্থের চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দিতে হবে: নুরুল হক
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, আর কোনো শাসক যাতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পথ অনুসরণ করে নাগরিকদের নিপীড়নসহ দেশকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে না পারে, সে জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সংস্কার প্রশ্নে ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের চেয়ে দেশকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে সংস্কার প্রশ্নে গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে আজ গণ অধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৈঠকের শুরুতে নুরুল হক বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে গণ অধিকার পরিষদের আহ্বান থাকবে, যে সংস্কারগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে, সেগুলো যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনেই বাস্তবায়ন করতে হবে।
নুরুল হক বলেন, বিগত ১৬ বছরে দেশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত হয়ছিল। গণ অধিকার পরিষদ নবীন রাজনৈতিক দল হলেও ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার।
বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ছিল ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের নতুন অধ্যায়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হয়েছে।
সম্মিলিতভাবে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়তে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তাঁদের লক্ষ্য দ্রুততম সময়ে একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা।
সংস্কার প্রশ্নে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, শুধু আলোচনার মধ্য দিয়েই সংস্কার বাস্তবায়ন হবে না। সবার একত্রিত থাকার তাগিদ সব সময় জারি রাখতে হবে।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
আলোচনায় গণ অধিকার পরিষদের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধিদল অংশ নিচ্ছে। নুরুল হক ছাড়া প্রতিনিধিদলে রয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, সিনিয়র সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ফারুক হাসান, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য খালিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান রিজু, সাকিব হোসেন, দপ্তর সম্পাদক শাকিলুজ্জামান, সহমানবাধিকার–বিষয়ক সম্পাদক ফাতেমা দিশা, যুব উইংয়ের সদস্য মুমতাজুল ইসলাম, গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।