আমি এভাবে কী করে বাঁচব-ড্রোন হামলায় দুই হাত হারানো গাজার শিশুর জিজ্ঞাসা
Published: 20th, April 2025 GMT
গাজায় গত বছর ইসরায়েলের এক ড্রোন হামলায় মারাত্মকভাবে আহত হয় ফিলিস্তিনি শিশুটি। তাকে নিয়ে তোলা একটি ছবি এ বছর (২০২৫ সাল) ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর বর্ষসেরা ছবির পুরস্কার জিতেছে। শিশুটি বলেছে, বিস্ফোরণে দুই হাত হারিয়ে এখন বেঁচে থাকার সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাকে।
আহত হওয়ার পর মাহমুদ আজুরকে কাতারের রাজধানী দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়। আল–জাজিরার সঙ্গে এক আলাপে ৯ বছরের মাহমুদ তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে ২০২৪ সালে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার ভয়ানক মুহূর্তের কথা স্মরণ করে। কাতারে তার চিকিৎসা চলছে।
গাজা সিটির পুরোনো একটি এলাকায় আজুরের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। আজুর বলেছে, (ওই বোমা বিস্ফোরণের মুহূর্তে) সে প্রাথমিকভাবে তার আহত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেনি।
আহত হওয়ার পর মাহমুদ আজুরকে কাতারের রাজধানী দোহায় নিয়ে যাওয়া হয়। আল–জাজিরার সঙ্গে এক আলাপে ৯ বছরের মাহমুদ তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে ২০২৪ সালে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার ভয়ানক মুহূর্তের কথা স্মরণ করে। কাতারে তার চিকিৎসা চলছে।আজুর বলেছে, ‘(প্রথমে) ভেবেছিলাম, আমি শুধু মাটিতে পড়ে গেছি। কিন্তু নিজেকে মাটিতে ক্লান্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখলাম। ভাবছিলাম, কী হয়েছে।’
আজুর বলে, ‘প্রকৃতপক্ষে, তখন আমার এক হাত উড়ে গেছে এবং আরেক হাত উড়ে গিয়ে আমার ডান পাশে এসে পড়ে।’
কাতারের দোহায় বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে পানি পান করছে মাহমুদ আজুর.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ শতাংশ
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ৩২১ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-মার্চ) ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৫৭ কোটি ডলার। সেই হিসেবে এ বছর বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ। এমনকি চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে গত অর্থবছরের কাছাকাছি ঋণের সুদাসল পরিশোধ হয়ে গেছে।
বিদেশি ঋণ-অনুদান পরিস্থিতির ওপর গতকাল বুধবার প্রকাশিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে বিদেশি ঋণ বাবদ পরিশোধের মধ্যে আসলের পরিমাণ ২০১ কোটি ডলার। সুদ বাবদ ১২০ কোটি ডলার পরিশোধ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ২৫৭ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে ৬৪ কোটি ডলার বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে।
ইআরডির একজন কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আগ্রাসী অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় পরিণাম চিন্তা না করে বড় অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারের তারতম্য বাড়াসহ নানা কারণে এখন বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে দেশে মোট প্রায় ৪৮১ কোটি ডলার সমপরিমাণ বিদেশি ঋণ-অনুদান এসেছে। এ সময়ে ঋণের সুদাসল পরিশোধ করতে হয়েছে অর্থছাড়ের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের সমান। এদিকে গত জুলাই-মার্চ সময়ে ৩০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বিদেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ, যা গতবারের একই সময়ে পাওয়া প্রতিশ্রুতির অর্ধেকের কম।
গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭২৪ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গিয়েছিল। জুলাই-মার্চ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১২২ কোটি ডলার ছাড় করেছে এডিবি। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংক ১০৭ কোটি ডলার ও জাপান ৮৯ কোটি ডলার দিয়েছে।