আগামী ১৫ ও ১৬ মে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব’। এবার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো হতে যাচ্ছে এই উৎসব, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-সংক্রান্ত খবর ও তথ্য জানতে পারবেন। এ ভর্তি উৎসবের আয়োজন করছে প্রথম আলো।

আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব’ নিয়ে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত হয়ে এই উৎসবে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করেন। গতবারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারের উৎসবকে আরও কীভাবে ভালো করা যায়, সে বিষয়ে বিভিন্ন রকমের প্রস্তাব ও পরামর্শ দেন তাঁরা। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এসব পরামর্শ নিয়ে এবারের উৎসবকে কীভাবে আরও বেশি ভালো করা যায়, সেই প্রচেষ্টা করা হবে।

আয়োজকেরা জানান, ভর্তি উৎসবসংক্রান্ত তথ্যের জন্য ই–মেইল করা যাবে- ([email protected]) এই ঠিকানায় এবং ফোন করা যাবে (০১৪০৪৪৪০০৫০) এই নম্বরে।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৩ ও ২৪ জুলাই রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব’। ওই বছর ভর্তি উৎসবে ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিল, ইএমকে সেন্টারসহ মোট ৪৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। তখন শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টল থেকে ভর্তির তথ্য, বৃত্তির খবর এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারেন। উৎসবে ছিল বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা সংলাপ। এ ছাড়া উৎসবে আসা দর্শনার্থীদের জন্য ছিল র‍্যাফল ড্রর মাধ্যমে মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, মুঠোফোনসহ বেশ কিছু আকর্ষণীয় পুরস্কার।

গত বছর এই উৎসবের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হলেও পরিবেশ-পরিস্থিতির কারণে শেষ পর্যন্ত সেটি করা যায়নি। এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো এই উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের উৎসবে অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি আয়োজনের কলেবরও বাড়বে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা।

‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি উৎসব’ নিয়ে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক মতবিনিময় সভায় এই উৎসবের নানা দিক তুলে ধরেন প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসান। আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল এই উৎসব উৎসব র প রস ত

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’