অতিরিক্ত ঢেকুর কিন্তু এসিড রিফ্লাক্স কিংবা পাকস্থলীতে আলসারের লক্ষণ প্রকাশ করে। এতে বুকের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। এ ছাড়া বেশি মাত্রায় খাওয়া, স্থূলতা এবং অতি মসলাদার খাবারে ঢেকুর ওঠে।
অন্ত্রনালিতে কোনো সমস্যা হলে ঢেকুর ওঠে বারবার। অন্ত্রনালি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এমনটা ঘটে। আবার কারও আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) দেখা দিলে অস্বাভাবিকভাবে ঢেকুর ওঠে। পেঁয়াজ, টমেটো, টক জাতীয় ফল এবং কৃত্রিম চিনিমিশ্রিত খাবার খেলেও ঢেকুর ওঠে। তা ছাড়া যে খাবার বা পানীয়ই খান না কেন, ভরপেট খেয়ে ফেললে ঢেকুর উঠতেই পারে। মানসিক চাপে থাকলেও কারও কারও ঢেকুর ওঠে। খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করলে খাওয়ার পর বারবার ঢেকুর উঠতে থাকে। চুইংগাম চিবানোর সময় কিংবা শক্ত লজেন্স চুষে খাওয়ার সময়ও খাদ্যনালিতে বাতাস ঢুকে যায়। সে ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। সিগারেট খাওয়ার সময়ও ঘটে একই ঘটনা। কিছু রোগবালাই–যেমন বদহজম, গ্যাস্ট্রো-ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, হায়াটাস হার্নিয়া (এসব রোগে পাকস্থলী থেকে ওপরের দিকে খাবার বা অম্ল উঠে আসে) কিংবা আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম), পাকস্থলীর আলসার ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ হিসেবে ঢেকুর ওঠে। তাই প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।। v
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক