Samakal:
2025-05-01@02:39:18 GMT

বারবার ঢেকুর ওঠে কেন

Published: 21st, April 2025 GMT

বারবার ঢেকুর ওঠে কেন

অতিরিক্ত ঢেকুর কিন্তু এসিড রিফ্লাক্স কিংবা পাকস্থলীতে আলসারের লক্ষণ প্রকাশ করে। এতে বুকের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। এ ছাড়া বেশি মাত্রায় খাওয়া, স্থূলতা এবং অতি মসলাদার খাবারে ঢেকুর ওঠে। 
অন্ত্রনালিতে কোনো সমস্যা হলে ঢেকুর ওঠে বারবার। অন্ত্রনালি কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এমনটা ঘটে। আবার কারও আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) দেখা দিলে অস্বাভাবিকভাবে ঢেকুর ওঠে। পেঁয়াজ, টমেটো, টক জাতীয় ফল এবং কৃত্রিম চিনিমিশ্রিত খাবার খেলেও ঢেকুর ওঠে। তা ছাড়া যে খাবার বা পানীয়ই খান না কেন, ভরপেট খেয়ে ফেললে ঢেকুর উঠতেই পারে। মানসিক চাপে থাকলেও কারও কারও ঢেকুর ওঠে। খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া করলে খাওয়ার পর বারবার ঢেকুর উঠতে থাকে। চুইংগাম চিবানোর সময় কিংবা শক্ত লজেন্স চুষে খাওয়ার সময়ও খাদ্যনালিতে বাতাস ঢুকে যায়। সে ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। সিগারেট খাওয়ার সময়ও ঘটে একই ঘটনা। কিছু রোগবালাই–যেমন বদহজম, গ্যাস্ট্রো-ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, হায়াটাস হার্নিয়া (এসব রোগে পাকস্থলী থেকে ওপরের দিকে খাবার বা অম্ল উঠে আসে) কিংবা আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম), পাকস্থলীর আলসার ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে রোগের উপসর্গ হিসেবে ঢেকুর ওঠে। তাই প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।। v

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে ‘দখলে নিল’ চীন

দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে চীনের কোস্টগার্ড দখলে নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এ ঘটনা ফিলিপাইনের সঙ্গে দেশটির আঞ্চলিক বিরোধ আরও বাড়াবে বলে আশঙ্কাও করা হচ্ছে।

চীনা গণমাধ্যম সিসিটিভির প্রকাশিত ছবিতে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিরোধপূর্ণ প্রবালপ্রাচীর স্যান্ডি কে-তে কালো পোশাক পরা কোস্টগার্ডের চার কর্মকর্তাকে চীনের জাতীয় পতাকা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এপ্রিলের শুরুর দিকে চীন ওই প্রবালপ্রাচীরে ‘সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সার্বভৌম অধিকার প্রয়োগ করেছে’, সিসিটিভি এমনটাই জানিয়েছে বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দক্ষিণ চীন সাগরের বেশ কিছু দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের পাল্টাপাল্টি দাবি আছে।

এ ঘটনার পর রোববার ফিলিপাইন তিনটি বালুচরে নামার কথা জানায় এবং চীনের ছবির অনুকরণে তাদের কর্মকর্তারাও একটি প্রবালপ্রাচীরে জাতীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে আছে এমন একটি ছবি প্রকাশ করে। অবশ্য ফিলিপাইনের নিরাপত্তা বাহিনী যেসব বালুচরে নেমেছে, তার মধ্যে কোনোটি স্যান্ডি কে কিনা, তা নিশ্চিত হতে পারেনি বিবিসি।
এক বিবৃতিতে ন্যাশনাল টাস্কফোর্স ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি জানায়, তারা একটি বালুচর থেকে এক হাজার গজ দূরে চীনা কোস্টগার্ডের একটি নৌযান এবং আরও সাতটি চীনা মিলিশিয়া নৌযানের ‘অবৈধ উপস্থিতি’ দেখতে পেয়েছিল।

পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে দেশের সার্বভৌমত্ব, সার্বভৌম অধিকার ও কর্তৃত্ব রক্ষায় ফিলিপাইন সরকারের অবিচল নিষ্ঠা ও দৃঢ় অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ এই অভিযান,’ বলা হয়েছে বিবৃতিতে।

রোববারই পরে এক বিবৃতিতে চীনা কোস্টগার্ড জানায়, তারা তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীরে ৬ ফিলিপিনোর ‘অবৈধভাবে নামার ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে’। স্যান্ডি কে চীনে তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীর নামে পরিচিত।

চীনের দিক থেকে সতর্কবার্তা ও নিরুৎসাহিত করার পরও ফিলিপাইনের ছয়জন অবৈধভাবে তিয়েশিয়ান প্রবালপ্রাচীরে নামে। চীনের কোস্টগার্ড সদস্যরা এরপর ওই প্রবালপ্রাচীরে নামে এবং তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। রোববার সন্ধ্যায় দেওয়া বিবৃতিতে চীনা কোস্টগার্ডের মুখপাত্র লিউ দেজুন এমনটাই বলেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিরোধপূর্ণ বালুচর স্যান্ডি কে ‘দখলে নিল’ চীন