হারের পর হামজা কেন এত খেপে গেলেন
Published: 22nd, April 2025 GMT
টার্ফ মুর স্টেডিয়ামে গত রাতে শেষ বাঁশি বাজার পর বার্নলির সমর্থকেরা আর নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি। প্রিমিয়ার লিগে ওঠার আনন্দে দিশাহারা হয়ে মাঠে নেমে পড়েন অনেক স্বাগতিক সমর্থক। বার্নলির খেলোয়াড়েরাও এই উদ্যাপনে যোগ দেন। এমন সময় শেফিল্ড ইউনাইটেডের বাংলাদেশি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীকে ঘিরে মাঠে তৈরি হয় এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি।
আরও পড়ুনহামজাদের হারিয়ে লিডসকে নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ফিরল বার্নলি৯ ঘণ্টা আগেটিভি পর্দায় দেখা গেছে, প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত অবস্থায় মাঠ ছাড়ছিলেন হামজা। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা এ সময় তাঁকে নিয়ে যান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’ জানিয়েছে, মাঠে নেমে পড়া দর্শকদের আপত্তিকর আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হামজা। লেস্টার সিটি থেকে শেফিল্ডে ধারে খেলা হামজা পরে স্টেডিয়ামের টানেলে যাওয়ার পথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন।
হারের পর এভাবেই মেজাজ হারান হামজা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক