ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা, দুটি ইউনিটের বিষয় মনোনয়ন প্রকাশ
Published: 22nd, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বিষয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুটি ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ এবং একটির আংশিক বিষয় মনোনয়ন দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সাক্ষাৎকারের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিসংক্রান্ত ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির প্রথম ধাপের বিষয় বরাদ্দ (ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ব্যতীত) প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয় বরাদ্দপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আগাম টাকা (অফেরতযোগ্য) জমা দিয়ে ইউনিট কর্তৃক ঘোষিত সাক্ষাৎকারের নির্ধারিত তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের গ্রেড/মার্কশিটসহ সশরীর হাজির হতে হবে। ইউনিট অফিস মূল মার্ক/গ্রেডশিটগুলো জমা রাখবে।
আরও পড়ুন৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিত২১ এপ্রিল ২০২৫কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম ধাপের বিষয় মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। মানবিক শাখার সাক্ষাৎকার ২৭ ও ২৮ এপ্রিল এবং বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখার সাক্ষাৎকার ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। বিষয় মনোনয়ন প্রকাশের পর বিস্তারিত সাক্ষাৎকার সূচি সংশ্লিষ্ট ইউনিটের নোটিশ সেকশনে পাওয়া যাবে।
বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম ধাপের বিষয় মনোনয়নপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার ২৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। বিষয় মনোনয়ন প্রকাশের পর বিস্তারিত সাক্ষাৎকারের সূচি বিজ্ঞান ইউনিটের নোটিশ সেকশনে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি, দেখে নিন বিস্তারিত তথ্য২২ ঘণ্টা আগেএদিকে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের শুধু বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। বাণিজ্য শাখার উপস্থিত পরীক্ষার্থীদের শুধু এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা আগামী ১৭ মে বেলা ৩টায় পূর্বনির্ধারিত অঞ্চলে নতুন আসনবিন্যাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বিস্তারিত ওয়েবসাইটে জানা যাবে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে সরকার, আবেদন শুরু১৫ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল মাস্টার্স, আবেদনের সময় বৃদ্ধি১৮ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ট র পর ক ষ প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ