লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যা মামলায় রুবেল হোসেন নামের এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার তাঁকে লক্ষ্মীপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকা থেকে একদল লোক রুবেলকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। রুবেল হোসেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকা মেইলের’ লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি। তিনি সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের আবিরনগর গ্রামের ফজল করিমের ছেলে।

গ্রেপ্তারের আগে রুবেল গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, সাংবাদিক হিসেবে সংবাদ পরিবেশনের জন্য গত ৪ আগস্ট তিনি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যা মামলায় তাঁর নাম জড়ানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না।

৪ আগস্ট শহরের মাদাম ব্রিজ এলাকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান নিহত হন। এ ঘটনায় আফনানের মা নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ৬০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল মোন্নাফ বলেন, রুবেল রাতে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় অবস্থান করছিলেন। সেখানে একদল লোক এসে তাঁকে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। আদালত তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: লক ষ ম প র আফন ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেগ লিয়াকত আলীকে (৭২) পেটানোর পর পুলিশে দিয়েছেন একদল লোক। আজ শনিবার বেলা একটার দিকে নগরের ফুলবাড়ি গেট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেগ লিয়াকত আলীর বাড়ি খান জাহান আলী থানার বাদামতলা এলাকার পুলিশ প্রশিক্ষণকেন্দ্রের সামনে। তিনি খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং ফুলবাড়িগেট বাজার বণিক সমিতির সভাপতি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বেগ লিয়াকত আলী সমিতির কার্যালয়ে বসে বিএনপি ও অন্য রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নাম সংগ্রহ করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করতেন। ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি নিয়মিত চাঁদাও আদায় করতেন বলে অভিযোগ। একটি মামলায় ঈদের কয়েক দিন আগে তিনি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। আজ শনিবার নিজের বাড়ি থেকে ফুলবাড়ি গেট বাজারে মুঠোফোন মেরামতের জন্য এলে সেখানে একদল লোক তাঁকে ঘিরে ফেলেন ও বেধড়ক মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন বেগ লিয়াকত আলী। তাঁর বিরুদ্ধে দৌলতপুর, দিঘলিয়া, খান জাহান আলী এবং সাভার থানার কয়েকটি মামলা আছে। তাঁর বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করা একটি অভিযোগও আছে। কিছুদিন আগে তিনি একটি মামলায় জামিনে মুক্ত হন।

খানজাহান আলী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সনজিৎ কুমার ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, বেগ লিয়াকত আলীকে স্থানীয় জনগণ পুলিশে সোপর্দ করেছিলেন। তিনি বেশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে আছেন। চিকিৎসার জন্য তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খুলনায় আওয়ামী লীগ নেতাকে বেধড়ক পেটানোর পর পুলিশে সোপর্দ