জামালপুর সদর উপজেলায় দুই শিশুকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে এক শিশুর পরিবার।

অভিযুক্ত দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৫০ বছর; আরেকজনের ১৮ বছর। তাঁরা দুজন গাছকাটা শ্রমিকের কাজ করেন। অভিযোগ দায়েরের পর থেকেই তাঁরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভুক্তভোগী শিশু দুটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

লিখিত অভিযোগ ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ছাগলকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য ওই দুই শিশু বাগানে যায়। সেখানে শামছুল ও আশিক গাছ কাটছিলেন। এ সময় তাঁরা শিশুদের কাছে ডেকে নেন। একপর্যায়ে ভয় দেখিয়ে দুই শিশুকে ধর্ষণ করেন তাঁরা। এরপর বিভিন্ন সময় ওই দুই শিশুকে টাকার লোভ দেখিয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করতেন শামছুল ও আশিক। একপর্যায়ে শিশু দুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে ১১ বছর বয়সী শিশুটি শারীরিকভাবে বেশি দুর্বল হয়ে যায়। পরে শিশু দুটি পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণের ঘটনা জানায়। গতকাল রাতেই এক শিশুর নানি থানায় ওই দুজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগকারী ওই নারী বলেন, ‘আমার মাইয়্যাডা প্রতিবন্ধী। মাইয়্যা ও নাতিরে আমিই লালন-পালন করি। ম্যালাবার আমার নাতির লগে খারাফ কিছু করছে ওরা। বিভিন্ন সময় আমার নাতি আর ওই বাচ্চা পোলারে টাকার লুভ দেখাইয়্যা এসব করত। আমার নাতিডা এসবের কারণে এহন অসুস্থ। আমি অপরাধীদের শাস্তি চাই।’

লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো.

আতিক বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে গতকাল রাতে অভিযান চালানো হয়েছিল, কিন্তু তাঁদের পাওয়া যায়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের ধরা হবে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ