পৃথিবীতে লুকানো প্লাজমা কাঠামোর খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা
Published: 23rd, April 2025 GMT
প্লাজমা শব্দের সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। প্লাজমা পদার্থের এমন এক অবস্থা যেখানে পরমাণুর ইলেকট্রন বিচ্ছিন্ন হয়ে আয়নিত গ্যাস তৈরি করে। এটি অত্যন্ত উত্তপ্ত ও বিদ্যুৎ পরিবাহী। মহাবিশ্বের তারকাপুঞ্জ ও নীহারিকায় প্লাজমার প্রাচুর্য দেখা যায়। আমরা যে প্লাজমা কাঠামোর কথা জানি তার ঘনত্ব গ্যালাক্সির শক্তিশালী ঘটনার মাধ্যমে তৈরি হয়। বিজ্ঞানীরা এবার শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপের মাধ্যমে রহস্যময় এক প্লাজমা কাঠামোর খোঁজ পেয়েছেন। নেচার অ্যাস্ট্রোনমি সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে পৃথিবীর কাছে লুকানো এই প্লাজমা কাঠামোর তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্য মতে, দ্রুতগতিতে ঘূর্ণায়মান একটি পালসারকে ঘিরে থাকা আন্তনাক্ষত্রিক শক ওয়েভের মধ্যে নতুন প্লাজমা স্তরের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। জে০৪৩৭-৪৭১৫ নামের পালসারটি পৃথিবী থেকে ৫১২ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। সাধারণভাবে বলা যায় পালসার বিশেষ ধরনের নিউট্রন তারা। অতি-ঘন নাক্ষত্রিক অবশিষ্টাংশ পালসার রেডিও তরঙ্গ রশ্মি ও কণার একটি শক্তিশালী প্রবাহ তৈরি করে। পালসার ও তার কণা প্রবাহ দ্রুত গতিতে আন্তনাক্ষত্রিক মাধ্যমের মধ্য দিয়ে চলে যায়। যার কারণে উত্তপ্ত গ্যাসের একটি শক তরঙ্গ তৈরি হয়। আন্তনাক্ষত্রিক প্লাজমা অশান্ত ধরনের। সেখান থেকে বিক্ষিপ্ত তরঙ্গ বিশেষ নকশা তৈরি করে মহাকাশে। এর ফলে পালসারকে দূর থেকে মিটমিটে তারার মতো মনে হয়।
বিজ্ঞানীরা বর্তমানে সিন্টিলেশন আর্ক নামের ইন্টারফেরেন্স প্যাটার্ন থেকে পালসার তরঙ্গের সুবিন্যস্ত আকার উন্মোচন করতে কাজ করছেন। সিন্টিলেশন আর্ক গবেষণা অনেকটা আন্তনাক্ষত্রিক বস্তুকে সিটি স্ক্যান করার মতো।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কম দায়ী নয়: উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে বনভূমি উজাড় ও গাছপালা কমে যাওয়ার জন্য বন বিভাগের দায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে যদি বলা হয় যে আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই, তাহলে খুব বেশি ভুল হবে না। ৮০ সাল পর্যন্ত এখানে বন ছিল, গাছপালা ছিল, ঝোপঝাড় ছিল। এই অঞ্চলে বা দেশে গাছপালা নিধনের জন্য বন বিভাগ কোনো অংশ কম দায়ী নয়।
সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চেয়ে বড় আকারের বনভূমি এখন মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী কিংবা সিলেটে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চলে এই অবস্থা কেন সৃষ্টি হলো সবার ভাবতে হবে।
পার্বত্য উপদেষ্টা আরও বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে সাধারণত ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে শীতের অনুভূতি পাওয়া যেত। এখন কার্তিক মাসেও শীতের অনুভূতি পাওয়া যায় না। যারা আদিকাল থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করে আসছে, তারা প্রকৃতি সচেতন ছিল। তাই তাদের ওপর খুব বেশি ভূমি ধস হয়েছে শোনা যায় না। তাদের বাড়িঘরেও হয়নি। প্রকৃতিকে যারা চেনে না, তাদের ওপর ভূমিধস হয়।
বৃক্ষমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন পরিকল্পনা কমিশনের জ্যেষ্ঠ সচিব এ কে এম আকমল হোসেন আজাদ, রাঙামাটি সার্কেলের বন সংরক্ষক মো. আবদুল আওয়াল সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এস এম ফরহাদ হোসেন, সিভিল সার্জন নূয়েন খীসা, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এসম সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ। এর আগে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে বৃক্ষমেলার উদ্বোধন করা হয়। ৮ আগস্ট পর্যন্ত এই মেলা চলবে। বৃক্ষমেলায় ২১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে।