নাগরিক সমস্যা সমাধানের দাবিতে শহরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মানববন্ধন
Published: 23rd, April 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ নগরবাসীর দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জ নগর ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সংগঠনের নারায়ণগঞ্জ মহানগর সভাপতি মুফতি মুহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা নগরবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন এবং নগর উন্নয়নে চার দফা দাবির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নগর জুড়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা, সরকারি হাসপাতালে ভোগান্তি ছাড়া সু-চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ, শহরের প্রধান সড়কগুলোতে যানজট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ফুটওভারব্রিজ স্থাপন, উন্নয়নমূলক কাজে সিটি কর্পোরেশনের গতিশীল পদক্ষেপ নিশ্চিত করা।
মানববন্ধন শেষে নেতৃবৃন্দ এসব দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন (উপসচিব) বরাবর পেশ করেন।
এই কর্মসূচির মাধ্যমে নগরবাসীর বাস্তব সমস্যাগুলো সামনে চলে আসে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
“শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের চাষাড়া ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়কে আজ বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে যা ঘটেছে তা উদ্বেগজনক। স্বেচ্ছায় সড়কে শৃংখলার দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থীদের উপর অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটো-ইজিবাইক চালকদের সংঘবদ্ধ হিংস্র হামলা প্রমান করে এটা পূর্ব পরিকল্পিত।
কিছু কিছু অটো চালক তাদের গাড়ির সিটের নিচে করে লাঠি ও লোহার রড নিয়ে এসেছে। হামলার পরও প্রকাশ্যে একাধিক শিক্ষার্থীকে গণধোলাই দিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে অটো চালকরা। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও পথচারীদের তথ্যমতে, অনেক অটো চালককে মনে হয়েছে কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী, নেশাখোরের মতো। তারা অন্যদের চেয়ে বেশি মারমুখী ছিল।
অটো চালকদের কেউ কেউ থামানোর চেষ্টা করলেও আরেকটি পক্ষের হিংস্রতা দেখে মনে হচ্ছিল তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন থাকতে পারে এই ঘটনায়।
হামলার পর উল্টো অটো চালকরা নিজেদের উপর হামলার অভিযোগ তুলে দীর্ঘ দুই ঘন্টা নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোড ব্লক করে রাখে। এতে করে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে হাজার হাজার যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হলো, সড়ক বন্ধ করা হলো, রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ ডানপন্থী-বামপন্থী রাজনৈতিকরা। নিশ্চুপ অতি বিপ্লবীরাও।
মজার বিষয় হলো-স্বেচ্ছাশ্রমে রৌদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে সড়কে শৃংখলা ফেরাতে শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব পালন হয়তো কারো কারো কাছে পছন্দ হচ্ছিলো না। কারণ, চাষাড়ায় অটো ঢুকতে দেয়াটাই ছিল অটো চালকদের দাবি। সেখান পর্যন্ত গেলে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া ও আয় বেশী হয়। এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চাঁদাবাজরাও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এই চাঁদাবাজ ও অটো বাণিজ্যের সাথে জড়িত রয়েছে কতিপয় অসাধু ট্রাফিক পুলিশ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, কথিত সাংবাদিক ও মাস্তানদের সমন্বয়ে একটি চক্র। এই চক্রের কারণে কখনোই অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটো রিকসা, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করা যায়নি। হয়তো যাবেও না।
শিক্ষার্থীদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
লেখক -
বিল্লাল হোসেন রবিন
সহসভাপতি
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব