বাংলাদেশের মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের জন্য প্রযুক্তিশিক্ষা চালু করতে কাতার চ্যারিটির সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

কাতারের রাজধানী দোহায় মঙ্গলবার আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কাতার চ্যারিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান নওয়াফ আবদুল্লাহ আল হাম্মাদির সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।

এ সময় অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশিদের জন্য কাতারের সংস্থাটির চলমান মানবিক প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। এর মধ্যে রয়েছে এতিমদের জন্য স্পনসরশিপ প্রোগ্রাম ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এলপিজি বিতরণ।

প্রধান উপদেষ্টা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ অন্যান্য প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতার মতো উদীয়মান প্রযুক্তি শেখার জন্য মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের আগ্রহের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের জন্য যেকোনো সহায়তাকে আমরা স্বাগত জানাব।’

অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, কাতার চ্যারিটি বাংলাদেশি মাদ্রাসাগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে পারে। মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমে প্রযুক্তিবিষয়ক পাঠ যুক্ত করার প্রচেষ্টায় তারা সহায়তা করতে পারে।

কাতার চ্যারিটির প্রধান উল্লেখ করেন, তাঁরা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসাকে দক্ষতা উন্নয়ন ও জীবিকা নির্বাহের কর্মসূচিতে সহায়তা করেছে। তিনি আশ্বাস দেন, প্রস্তাবটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে।

আলোচনায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র থ দ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ