ঢাকা ও চট্টগ্রামে আ’লীগের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
Published: 25th, April 2025 GMT
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া শাখার বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবির একাধিক দল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম নগরীতে ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন– যুবলীগ নেতা আসাদুল্লাহ শিপলু, আওয়ামী লীগ নেতা শাকিল আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আসলাম চৌধুরী ইমন, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা ও অর্থ সরবরাহকারী মোবাশ্বের রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমীন, সাবেক মেয়র ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামাল হোসেন শেখ, উত্তরা পশ্চিম থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো.
এদিকে, চট্টগ্রাম নগরের লাভ লেন এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। গতকাল ভোরে মিছিলটি বের করা হয়। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, ভোরে লোকজনের চলাচল কম ছিল। দোকানপাটও বন্ধ ছিল। এ সময় তারা কয়েক মিনিটের ঝটিকা মিছিল করে পালিয়ে গেছে। পরে অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক