সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী মা ও তার শিশু সন্তান নিহত হয়েছেন। তবে মোটরসাইকেল চালক স্বামী এবং তার মেয়েসহ দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাটকেলঘাটা থানাধীন সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, খুলনার পাইকগাছা থানার কপিলমুনি এলাকার অপূর্ব সাধুর স্ত্রী রিতা সাধু (২৬) ও তাদের শিশু ছেলে সৌরভ সাধু (২)। 

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী অপূর্ব সাধু (৩২) ও তাদের মেয়ে সূবর্ণা‌ সুমি সাধু (৫) গুরুতর আহত হন। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী মাহমুদুল ইসলাম জানান, অপূর্ব সাধু তার স্ত্রী রিতা সাধু, মেয়ে সূবর্ণা‌ সুমি ও শিশু ছেলে সৌরভ সাধুকে নিয়ে চারজন একটি মোটরসাইকেলে ছিলেন। তারা পাইকগাছার কপিলমুনি থেকে পাটকেলঘাটা হয়ে যশোরের সাগরদাড়ি গ্রামে যাচ্ছিলেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাটকেলঘাটার সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের কদমতলা এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সাতক্ষীরাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে রিতা সাধু ও তার ছেলে সৌরভ সাধু ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন অপূর্ব সাধু ও তার মেয়ে সুমি সাধু। স্থানীয়রা এসে দুজনকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় কুমার বিশ্বাস বলেন, আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।

আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।

এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।

রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি পুনর্বহাল
  • সিলেটে পাথরবাহী ট্রাক্টরচাপায় পর্যটক নিহত, আহত ৫
  • ক্রিকেট ম্যাচের দায়িত্ব পালন করতে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা, আহত ২৭ নারী পুলিশ সদস্য
  • ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫