হৃদয়ের আবার শাস্তি হাস্যকর, বলেছেন তামিম
Published: 25th, April 2025 GMT
তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে নাটক যেন থামছেই না। সর্বশেষ সে নাটকে যোগ দিয়েছেন এ মৌসুমে অসুস্থ হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে মোহামেডানের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা তামিম ইকবালসহ মোহামেডান এবং অন্যান্য কয়েকটি দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।
আজ দুপুরে মিরপুরের একাডেমি ভবনে নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর তামিমের নেতৃত্বে ক্রিকেটাররা বিসিবি কার্যালয়ে আলোচনায় বসেন বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদের সঙ্গে। সেখানে ছিলেন বিসিবির আরও দুই পরিচালক ক্রিকেট পরিচলনা বিভাগের প্রধান নাজমূল আবেদীন ও আম্পায়ার্স এবং মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান।
দীর্ঘ সভা শেষে তামিম ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা শুনেছি কাল তাকে আবার এক ম্যাচের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এটা কোন নিয়মে আমাদের জানা নেই। এটা হাস্যকর। বিসিবি তাকে খেলতে দিয়েছে, আবার কিভাবে শাস্তি দেয়!’
বিস্তারিত আসছে.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক