আড়াইহাজার থানার একটি হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জহিরুল ইসলাম (৪৫)কে ২৬ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। গ্রেপ্তারকৃত জহিরুল ইসলাম আড়াইহাজার বাজবী এলাকার মৃত আব্দুল জলিল’র ছেলে। সে বর্তমানে রাজধানীর আশুলিয়া বাইপাইল এলাকায় থাকতেন। 

শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-১১ এর স্কোয়াড্রন লীডার মো.

ইশতিয়াক হোসাইন। এরআগে বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার কাইচাবাড়ি এলাকায় থেকে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ১৯৯৯ সালে আড়াইহাজার থানায় মামলা নং- ৫(৩)৯৯, ধারা ৩৯৩/৩০২/৩৪ এর অধীনে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পরপরই জহিরুল আত্মগোপনে চলে যান। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

গোয়েন্দা তথ্য ও চৌকস অভিযানিক টিমের সমন্বয়ে আশুলিয়া থানার কাইচাবাড়ি এলাকায় থেকে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর জহিরুল ইসলামকে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।                  
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: হত য ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে একাডেমি না করলে অর্থ দেবে না ফিফা

ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে সেন্টার ফর এক্সিলেন্স স্থাপনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালংয়ে এ সেন্টার তৈরি হওয়ার কথা ছিল। তবে বন কেটে এ ধরনের স্থাপনা তৈরির বিরোধিতা করেন পরিবেশবাদীরা। এ কারণে রামুতে এ একাডেমি হচ্ছে না। তাই কক্সবাজারের অন্য জায়গায় জমি খুঁজছে বাফুফে। যেভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে ফিফার অর্থ বরাদ্দ বন্ধের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। 

গতকাল ‘মিট দ্য প্রেসে’ এ বিষয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল, ‘আমরা অনেক দিন ধরে ফিফা টেকনিক্যাল সেন্টার ডেভেলপমেন্টের জন্য বসে ছিলাম। জমিজমা ইত্যাদির জন্য আমরা পিছিয়ে ছিলাম। সেটার জন্যও ফিফা থেকে আমাদের ওপর চাপ আছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কাজটা শুরু না করি, তাহলে সেই ফান্ডটা কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার জায়গা আছে। তবে আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিতে পারি ফান্ডটা হারাব না। আমরা কাজটি অচিরেই শুরু করতে পারব।’

ফিফা নিজ তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন দেশে একাডেমি করে দিচ্ছে। বাফুফেও দেশে এমন একাডেমি করার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে জানান তাবিথ, ‘ফিফাতে ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্টের অধীনে ফিফা ৭৫টি একাডেমি করতে যাচ্ছে। সেখানে একেকটি সদস্যের আবেদন করতে হয়। আবেদন করলে টিবিএস কমিটি যদি অনুমোদন করে, তাহলে আর্সেন ওয়েঙ্গারের ফাইনাল সিদ্ধান্তে একাডেমিগুলো ডেভেলপমেন্ট করা হয়। সর্বশেষ কংগ্রেসে আমি সরাসরি আর্সেন ওয়েঙ্গারের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কমিটমেন্ট চেয়েছেন, আমিও কথা দিয়ে এসেছি। এই বছরের মধ্যে আমরা ফিফার সঙ্গে চুক্তি করে আসব, যেন বাংলাদেশে ফিফা সার্টিফাইড একাডেমি তৈরি করা হয়। এরই মধ্যে ফিফার কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। তারাও কিছু বিষয় তুলে ধরে চিঠি দিয়েছে আমাদের। তাদের এই বিষয়গুলো যদি আমরা মনে করি পূরণ করতে পারব, তাহলে সামনে যে কোনো সময় চুক্তি করব। আমার উদ্দেশ্যে হলো সেপ্টেম্বরের দিকে চুক্তি করা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ