পটুয়াখালী সদর উপজেলায় সরোয়ার আহমেদ তালুকদার (২৮) নামের এক ছাত্রদল নেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে উপজেলার টাউনকালিপুর ইউনিয়নের তালুকদারবাড়ির নিজ বসতঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

সরোয়ার আহমেদ কালিকাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সদর থানার পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

সরোয়ারের চাচা ইউনুছ তালুকদার (৬০) কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেল চারটার পরে সরোয়ার মোটরসাইকেলে করে বাড়ি আসেন। এ সময় তিনি একাই ছিলেন। এরপর তাঁকে আর ঘরের বাইরে দেখা যায়নি। সন্ধ্যায় পর সরোয়ারের খোঁজে তিনি তাঁর ঘরে যান। এ সময় ঘরের আড়ার সঙ্গে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার দেন।

সরোয়ারের ফুফাতো ভাই জুবায়ের আহমেদ (২৩) বলেন, সরোয়ার রাজনীতির পাশাপাশি একটি কোম্পানির ডিলার ছিলেন। সারা দিন ব্যবসা নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন। গতকাল তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ নিজ বসতঘরে দেখেন চাচা ইউনুছ তালুকাদার। এটি পরিকল্পিত হত্যা ছাড়া কিছুই নয়।

সরোয়ার আহমেদের বাবা ১৫ বছরে আগে মারা গেছেন জানিয়ে তাঁর প্রতিবেশী নয়ন মৃধা বলেন, সরোয়ারের মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। এক ছোট ভাই ও মাকে নিয়ে তাঁর সংসার। গতকাল সরোয়ারের মা নানাবাড়িতে যান। ওই ঘটনার সময় ঘরে অন্য কেউ ছিলেন না। সরোয়ারের সঙ্গে ইতিমধ্যে কারও বিরোধ হয়নি বলে তিনি জানান।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, নিহত ব্যক্তির স্বজনদের কাছ থেকে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহালে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে পরিকল্পিত হত্যা দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত সম্পন্ন এবং নিবিড় তদন্ত ছাড়া আপাতত হত্যা হয়েছে বলার সুযোগ নেই। সে রকম কিছু পেলে অবশ্যই আমলে নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য় র আহম দ গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে বসতঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ের লাশ

নোয়াখালী সদর উপজেলার কাদিরহানিফ ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুজন হলেন রাবেয়া বসরী (২৩) ও তাঁর চার বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুল ইসলাম। উদ্ধারের পর লাশ দুটি সুধারাম থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাবেয়া বসরীর স্বামী আবদুর রহমান ওরফে রুবেল (৩৮) পেশায় কসাই। রাবেয়া তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে রাবেয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।

কাদিরহানিফ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রহিম নিহত রাবেয়ার স্বামী আবদুর রহমানের বরাত দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, আজ দুপুরে আবদুর রহমান তাঁর ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর মেয়ে জান্নাতুল ও স্ত্রী রাবেয়া বসরীর লাশ ঘরের সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলছে। তিনি চিৎকার দিলে পাশের ঘর থেকে তাঁর ভাইসহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে তিনিও (ইউপি) ওই বাড়িতে যান।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লন্ডন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি মা ও মেয়ের লাশ পৃথক দুটি রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েছেন। স্বামীর দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি দেড়টার দিকে ছোট বোনের বাড়িতে দাওয়াত খেতে গিয়েছিলেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের কাপড়চোপড় এলোমেলো, কক্ষের ভেতর তাঁর মেয়ে ও স্ত্রীর লাশ ঝুলছে। তখন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।

এসআই লন্ডন চৌধুরী জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার আগে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য স্বামী আবদুর রহমানকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে মা-মেয়ের মৃত্যু হতে পারে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কলাপাড়ায় বসতঘর থেকে স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
  • বৈদ্যুতিক মিটার বিস্ফোরণের পর ১১ বসতঘরে আগুন
  • নোয়াখালীতে বসতঘরে ঝুলছিল মা-মেয়ের লাশ
  • স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর একই ছুরিতে স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা