ছয় দফা দাবি আদায়ে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষোভ মিছিল করেছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) ঢাকাসহ সারা দেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।

তেজগাঁয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে বিষোভ  মিছিল শুরু করেন বেলা ১১টার দিকে। এ সময় ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দেশ গড়ার হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন, জবাব চাই জবাব চাই’, ‘নাটকীয় মিটিংয়ের কারণ কী, কারণ কী’, ‘এসি রুমের বৈঠক আর নয় আর নয়’, ‘পলিটেকনিক এক হও, এক হও’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’ এবং ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’এমন স্লোগান দেন তারা। 

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম বলেন, “ছয় দফা দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে আজ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। আমরা এমন কর্মসূচি পালন করেছি যাতে করে সাধারণ মানুষের কোনো ধরনের দুর্ভোগ পোহাতে না হয়।” 

তিনি আরো বলেন, “আজকে আমরা আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করি। মিছিলটি ক্যাম্পাসের আশপাশ এলাকা ঘুরে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। পরবর্তী কর্মসূচি আমাদের ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’র ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেওয়া হবে।”

এরআগে গত ২২ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। সেদিন রাতে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার ঘোষণাও দেন তারা।

পরদিন ২৩ এপ্রিল তারা আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাহার করে ফের কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানান।

মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি জানিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

ঢাকা/সুকান্ত/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির

চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।

আরো পড়ুন:

জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ

এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।

তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।

বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।

শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।

গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ