ছয় দফা দাবি আদায়ে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। রোববার বেলা সোয়া ১১টা থেকে থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নিজ ক্যাম্পাসে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। 

সকালে ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের সপ্তম পর্বের শিক্ষার্থী সালমান আহমেদ তুষার বলেন, দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় ধরে ছয় দফা দাবি আদায়ে কারিগরি ছাত্ররা আন্দোলন করে আসছেন। তবে সরকারের পক্ষ থেকে শুধু একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও কোনো ইতিবাচক সাড়া পাইনি। আজ কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে শিক্ষামন্ত্রালয় কর্তৃক গঠিত ৮ সদস্যের কমিটির প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বৈঠক থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। 

প্রসঙ্গত, চলমান আন্দোলনের কারণে গত এক মাস ধরে রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ও দাপ্তরিক সব কাজ বন্ধ রয়েছে। সবশেষ গত ২১ এপ্রিল ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম কার্যত অচল হয়ে পড়ে।‌

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ