বৈশ্বিক মানদণ্ডে আরেক দফায় গুগল প্লের ইনডিপেনডেন্ট সিকিউরিটি রিভিউ ব্যাজের স্বীকৃতি পেয়েছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো। অ্যাপ নিরাপত্তা ও তথ্য গোপনীয়তার প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনে এমন স্বীকৃতি পেয়েছে অ্যাপটি।
স্বীকৃতিটি গুগলের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি অ্যাসেসমেন্ট (এমএএসএ) ফ্রেমওয়ার্কের অংশ, যা এখন অ্যাপ ডিফেন্স অ্যালায়েন্স মোবাইল প্রোফাইল সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম নামে পরিচিত। অ্যান্ড্রয়েড ঘরানার সব অ্যাপের মধ্যে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি বিশেষ মানদণ্ড নির্দেশ করে। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে যারা উল্লিখিত ব্যাজ অর্জন করেছে, তাদের তালিকা গুগল প্লে ডেটা সেইফটি সেকশনে দৃশ্যমান হয়। গুগল অনুমোদিত ল্যাব সহযোগী লেভিয়াথান সিকিউরিটি গ্রুপ পরিচালিত এমন সিকিউরিটি প্রোগ্রামে যথাযথ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মানদণ্ড পূরণ করেছে।
ডিভাইসে গ্রাহকের সব ধরনের সংবেদনশীল তথ্য যেন নিরাপদে সংরক্ষণ করার সুযোগ থাকে, তা নিশ্চিত করে এমন অ্যাপ হিসেবে ব্যাজ পাওয়া যায়।
নতুনভাবে অ্যাপটি কল ও চ্যাটের সময়ে স্ক্রিনশট ব্লক করা, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, সুরক্ষিত চ্যাট (প্রাইভেসি চ্যাট), প্রাইভেসি মোড, দুই-ধাপে যাচাইকরণ ছাড়াও ম্যানেজ ডিভাইস ফিচার উন্নয়ন করেছে। ইন্টারনেট গ্রাহকরা এখন নানা ঝুঁকির মুখোমুখি। ফলে ডিজিটাল সুরক্ষা ও গোপনীয়তা ক্রমে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে গুগলের নিরাপত্তা মূল্যায়ন প্রোগ্রামের স্বীকৃতি গ্রাহককে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি।
লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/রফিক