বৈশ্বিক মানদণ্ডে আরেক দফায় গুগল প্লের ইনডিপেনডেন্ট সিকিউরিটি রিভিউ ব্যাজের স্বীকৃতি পেয়েছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো। অ্যাপ নিরাপত্তা ও তথ্য গোপনীয়তার প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনে এমন স্বীকৃতি পেয়েছে অ্যাপটি।
স্বীকৃতিটি গুগলের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি অ্যাসেসমেন্ট (এমএএসএ) ফ্রেমওয়ার্কের অংশ, যা এখন অ্যাপ ডিফেন্স অ্যালায়েন্স মোবাইল প্রোফাইল সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম নামে পরিচিত। অ্যান্ড্রয়েড ঘরানার সব অ্যাপের মধ্যে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি বিশেষ মানদণ্ড নির্দেশ করে। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে যারা উল্লিখিত ব্যাজ অর্জন করেছে, তাদের তালিকা গুগল প্লে ডেটা সেইফটি সেকশনে দৃশ্যমান হয়। গুগল অনুমোদিত ল্যাব সহযোগী লেভিয়াথান সিকিউরিটি গ্রুপ পরিচালিত এমন সিকিউরিটি প্রোগ্রামে যথাযথ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মানদণ্ড পূরণ করেছে।
ডিভাইসে গ্রাহকের সব ধরনের সংবেদনশীল তথ্য যেন নিরাপদে সংরক্ষণ করার সুযোগ থাকে, তা নিশ্চিত করে এমন অ্যাপ হিসেবে ব্যাজ পাওয়া যায়।
নতুনভাবে অ্যাপটি কল ও চ্যাটের সময়ে স্ক্রিনশট ব্লক করা, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, সুরক্ষিত চ্যাট (প্রাইভেসি চ্যাট), প্রাইভেসি মোড, দুই-ধাপে যাচাইকরণ ছাড়াও ম্যানেজ ডিভাইস ফিচার উন্নয়ন করেছে। ইন্টারনেট গ্রাহকরা এখন নানা ঝুঁকির মুখোমুখি। ফলে ডিজিটাল সুরক্ষা ও গোপনীয়তা ক্রমে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে গুগলের নিরাপত্তা মূল্যায়ন প্রোগ্রামের স্বীকৃতি গ্রাহককে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল