বৈশ্বিক মানদণ্ডে আরেক দফায় গুগল প্লের ইনডিপেনডেন্ট সিকিউরিটি রিভিউ ব্যাজের স্বীকৃতি পেয়েছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো। অ্যাপ নিরাপত্তা ও তথ্য গোপনীয়তার প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলনে এমন স্বীকৃতি পেয়েছে অ্যাপটি।
স্বীকৃতিটি গুগলের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি অ্যাসেসমেন্ট (এমএএসএ) ফ্রেমওয়ার্কের অংশ, যা এখন অ্যাপ ডিফেন্স অ্যালায়েন্স মোবাইল প্রোফাইল সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম নামে পরিচিত। অ্যান্ড্রয়েড ঘরানার সব অ্যাপের মধ্যে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি বিশেষ মানদণ্ড নির্দেশ করে। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে যারা উল্লিখিত ব্যাজ অর্জন করেছে, তাদের তালিকা গুগল প্লে ডেটা সেইফটি সেকশনে দৃশ্যমান হয়। গুগল অনুমোদিত ল্যাব সহযোগী লেভিয়াথান সিকিউরিটি গ্রুপ পরিচালিত এমন সিকিউরিটি প্রোগ্রামে যথাযথ গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক মানদণ্ড পূরণ করেছে।
ডিভাইসে গ্রাহকের সব ধরনের সংবেদনশীল তথ্য যেন নিরাপদে সংরক্ষণ করার সুযোগ থাকে, তা নিশ্চিত করে এমন অ্যাপ হিসেবে ব্যাজ পাওয়া যায়।
নতুনভাবে অ্যাপটি কল ও চ্যাটের সময়ে স্ক্রিনশট ব্লক করা, এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, সুরক্ষিত চ্যাট (প্রাইভেসি চ্যাট), প্রাইভেসি মোড, দুই-ধাপে যাচাইকরণ ছাড়াও ম্যানেজ ডিভাইস ফিচার উন্নয়ন করেছে। ইন্টারনেট গ্রাহকরা এখন নানা ঝুঁকির মুখোমুখি। ফলে ডিজিটাল সুরক্ষা ও গোপনীয়তা ক্রমে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে গুগলের নিরাপত্তা মূল্যায়ন প্রোগ্রামের স্বীকৃতি গ্রাহককে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?