বাংলাদেশের শীর্ষ তরুণ নৃত্যশিল্পীদের একজন হৃদি শেখ। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে দারুণ সরব তিনি। ২০০৭ সাল থেকে ইউটিউবে সক্রিয় হয়েছেন। বর্তমানে তার  চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১১ লাখের বেশি। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যমগুলোতেও জনপ্রিয় হৃদি শেখ। তার ফেসবুকে প্রায় ৭ লাখ, ইনস্টাগ্রামে প্রায় ৫ লাখ ফলোয়ার রয়েছেন।একটি সাক্ষাৎকারে হৃদি শেখ জানিয়েছেন, নিয়মিতই আইটেম নাগে নাচার প্রস্তাব পাচ্ছেন তিনি। তবে সব সুযোগ লুফে নিতে চান না এই তরুণ নৃত্যশিল্পী। সামনে অভিনয় করতে চান। 

স্বপ্ন পূরণের জন্য ভালো গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালকের অপেক্ষায় আছেন হৃদি শেখ। এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘ইনসাফ’ সিনেমার একটা গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন তিনি। 

হৃদি নিয়মিত ‘ড্যান্স কনটেন্ট’ তৈরি করেন। তার সঙ্গে দেশের বাইরের নৃত্যশিল্পীদেরও দেখা গেছে। তুরস্ক ও দক্ষিণ কোরিয়ায় গিয়ে কোলাবরেট করেছেন তিনি। হৃদি মনে করেন নাচ হলো এমন একটা ল্যাঙ্গুয়েজ (ভাষা), যেটা সবাই বোঝে। ল্যাঙ্গুয়েজটা (ভাষা) আমি সব জায়গায় প্রকাশ করতে চাই।

আরো পড়ুন:

‘বরবাদ’- এর টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি

শুধু মায়া টিকে থাকে: অপু বিশ্বাস

তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে নাচকে পেশা হিসেবে নেওয়ার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জর কথাও জানিয়েছেন তিনি। হৃদি বলেন, ‘‘সামাজিক চাপ ও প্যাশনের মধ্যে ভারসাম্য রাখা অনেকটা চ্যালেঞ্জের। আমি নানা ধরনের ক্রিটিসিজম ফেস করেছি। কিন্তু থামিনি। আমাকে কেউ সুযোগ তৈরি করে দেয়নি, নিজে তৈরি করে নিয়েছি।’’

কঠোর পরিশ্রম করে নৃত্যশিল্পের এই পেশাকে এগিয়ে নিতে চান হৃদি শেখ।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির

চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।

আরো পড়ুন:

জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ

এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।

তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।

বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।

শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।

গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ