অভিনেতা সিদ্দিককে গণধোলাই দিয়ে থানায় সোপর্দ
Published: 29th, April 2025 GMT
ছোট পর্দার অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর রমনা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ মুহূর্তের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর হঠাৎ নিজ এলাকায় দেখা দিলে ক্ষুব্ধ জনতা তাকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে তাকে আটক করে রমনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে রমনা থানার ডিউটি অফিসার জানান, “স্থানীয় জনগণ সিদ্দিক নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
‘শুনেছি আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছিল সেই বাদী থানায় আটক আছে’
অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচনে রাফা নাঈমের চমক!
উল্লেখ্য, সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক দেশের টেলিভিশন অঙ্গনে একজন পরিচিত মুখ। বিভিন্ন হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সিদ্দিক। পরে ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে আলোচনায় আসেন, তবে শেষ পর্যন্ত কোনোবারই প্রার্থী হতে পারেননি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।