সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই কর্মীকে কুপিয়ে আহত করেছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

সোমবার গভীর রাতে পূর্ব বিরোধের জেরে উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সিলেটের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য সৈয়দপুর হারিকোণা গ্রামের মো.

তায়েন মিয়া এবং একই এলাকার মিল্লাত খান নদীতে যান মাছ শিকারে যান। রাত ২টার দিকে সৈয়দপুর গোয়ালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি সৈয়দ জীবান, একই এলাকার ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ তায়েক, কর্মী অলিউর রহমান ও আসাদুর রহমান তাদের ওপর এ হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তায়েন ও মিল্লাতকে আহত করে সেখান থেকে পালিয়ে যান। একপর্যায়ে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। তবে একটি সূত্র জানায়, জুলাই-আগস্টে সৈয়দপুর বাজারে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি করায় সৈয়দ জীবান গংদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এরই জেরে এ হামলা হতে পারে। 

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে থানায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ কেউ দেয়নি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স ন মগঞ জ স য়দপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ