চট্টগ্রামের আদালত থেকে ২ আসামির পলায়ন
Published: 29th, April 2025 GMT
চট্টগ্রাম আদালতে হাজিরা শেষে কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলার সময় দুই আসামি পালিয়ে গেছেন। তাদের মধ্যে একজন হত্যা ও অপরজন মাদক মামলার আসামি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের কারাগারে নেওয়ার সময় ঘটনাটি ঘটে। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পালিয়ে যাওয়া আসামিরা হলেন- মো.
আরো পড়ুন:
রিকশা ভাড়ার ৫০ টাকা নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
ধামরাইয়ে চালক-হেলপারকে মারধর করে তেলবাহী ট্রাক ছিনতাই
পুলিশ জানায়, মামলায় হাজিরা দিতে মঙ্গলবার সকালে দুই আসামিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। হাজিরা শেষে তাদের জেলা আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে কারাগারে ফেরত নেওয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলার সময় কৌশলে দুই আসামি পালিয়ে যান।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) মো. রাসেল জানান, পালিয়ে যাওয়া আসামিদের ধরতে পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। আসামি পালানোর ঘটনায় কারো অবহেলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।