নেত্রকোনায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তিতে অনিয়ম, শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত
Published: 30th, April 2025 GMT
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার হরিয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উপবৃত্তিপ্রাপ্ত ৬৭ শিক্ষার্থীর মুঠোফোন অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তনের ঘটনায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের এ আদেশ দেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপনটি ২২ এপ্রিল স্বাক্ষরিত হলেও মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয় গত রোববার। বিষয়টি আজ বুধবার জানাজানি হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই ও ডিসেম্বর কিস্তিতে হরিয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৭ জন শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পর মহাপরিচালকের সুপারিশে মন্ত্রণালয় এই ব্যবস্থা নেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরখাস্ত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় আমাকে বরখাস্ত করেছে বলে গতকাল মঙ্গলবার জানতে পেরেছি। তবে আমি এই ঘটনায় জড়িত নই। পাসওয়ার্ড হ্যাক করে অন্য কেউ অ্যাকাউন্ট নম্বর পরিবর্তন করেছে। আমি এ বিষয়ে মামলা করেছি এবং অধিদপ্তরকে জানিয়েছিলাম। আমি নির্দোষ।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল আজম বলেন, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বারহাট্টা উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে আদেশের কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর তাঁকে তা জানানো হয়। আজ থেকে তিনি আর কার্যালয়ে আসবেন না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রাথমিকে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ
দুই মাসের মধ্যে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা’ পরিবর্তন করল সরকার। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ বাদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার সংশোধিত বিধিমালা গেজেটে প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ -এর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। এতে অন্যান্য বিষয়বস্তুর পাশাপাশি সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছিল।
এরপর ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বিভিন্ন সভা, সেমিনার, বিক্ষোভ সমাবেশে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবি করেন। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল করা না হলে তাঁরা আন্দোলনেরও হুমকি দেন।
আরও পড়ুনপ্রাথমিকে কেন সংগীত শিক্ষক, বিরোধিতায় কারা, কী বলছেন শিক্ষকেরা২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫গত আগস্টে জারি করা বিধিমালায় চার ধরনের শিক্ষকের কথা বলা ছিল। সেগুলো ছিল প্রধানশিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)। সংশোধিত বিধিমালায় কেবল প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের কথা বলা হয়েছে।