আইপিএলে রোবট কুকুরের জন্য মামলা খেল বিসিসিআই
Published: 1st, May 2025 GMT
আইপিএলে মাঠে নজর কাড়ছে রোবট কুকুরের আদলে তৈরি একটি ক্যামেরা, যার নাম রাখা হয়েছে ‘চম্পক’। কিন্তু এই নাম নিয়েই বিপাকে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ‘চম্পক’ নামে একটি জনপ্রিয় শিশু পত্রিকা বিসিসিআইর বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছে।
পত্রিকাটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিসিসিআইয়ের রোবট ক্যামেরার নাম তাদের ব্র্যান্ডের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে এবং পত্রিকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। পত্রিকার আইনজীবী অমিত গুপ্ত জানান, ‘ক্যামেরাটির নাম সমর্থকদের ভোটের মাধ্যমে ২৩ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়। যেহেতু এটি একটি কুকুরের মতো দেখতে এবং পত্রিকাটির চরিত্রগুলোর মধ্যেও পশু রয়েছে, তাই সাধারণ মানুষ দুইটি ‘চম্পক’কে গুলিয়ে ফেলছেন।’
তবে আদালত এই অভিযোগকে খুব একটা আমলে নিচ্ছে না। আদালতের মন্তব্য, চম্পক পত্রিকায় ব্যবহৃত একটি চরিত্রের নাম ‘চিকু’, যা আবার ভারতীয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলির ডাকনামও। আদালতের মতে, ‘যদি ওই পত্রিকা বিরাট কোহলির ডাকনাম ব্যবহার করতে পারে, তবে বিসিসিআইও চম্পক নাম ব্যবহার করলে তাতে কোনো অসংগতি নেই।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব স স আই
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।