চট্টগ্রামে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শান্তি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শুক্রবার (২ মে) সকালে নগরীর নন্দনকানন বৌদ্ধ মন্দির চত্বর থেকে এই শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে । প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং শান্তি শোভাযাত্রায় সম্মিলিতভাবে অংশ নেন। 

আগামী ১১ মে উদযাপিত হতে যাচ্ছে বৌদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখ বা ভেসাক, যা বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব উদযাপনে বৌদ্ধ ধর্মীয় মন্দির ও প্রতিষ্ঠানসমূহের উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভা যাত্রায় বিভিন্ন পর্যায়ের বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ও মন্দিরসমূহের নেতৃবৃন্দ এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেন। 

বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র দিন। এই দিনে গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ এবং মহাপরিনির্বাণ সংঘটিত হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটি বৌদ্ধ সম্প্রদায় গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপন করে।

ঢাকা/রেজাউল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক