চট্টগ্রামে শান্তি শোভাযাত্রায় অংশ নিলেন প্রেস সচিব
Published: 2nd, May 2025 GMT
চট্টগ্রামে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শান্তি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (২ মে) সকালে নগরীর নন্দনকানন বৌদ্ধ মন্দির চত্বর থেকে এই শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা প্রদক্ষিণ করে । প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই শোভাযাত্রায় যোগ দিয়ে বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং শান্তি শোভাযাত্রায় সম্মিলিতভাবে অংশ নেন।
আগামী ১১ মে উদযাপিত হতে যাচ্ছে বৌদ্ধ পূর্ণিমা বা বৈশাখ বা ভেসাক, যা বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। এ উৎসব উদযাপনে বৌদ্ধ ধর্মীয় মন্দির ও প্রতিষ্ঠানসমূহের উদ্যোগে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার শান্তি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভা যাত্রায় বিভিন্ন পর্যায়ের বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু ও মন্দিরসমূহের নেতৃবৃন্দ এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী পুরুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশ নেন।
বুদ্ধ পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র দিন। এই দিনে গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ এবং মহাপরিনির্বাণ সংঘটিত হয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিনটি বৌদ্ধ সম্প্রদায় গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপন করে।
ঢাকা/রেজাউল/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ
মেঘ রোদের লুকোচুরির সকালে শিল্পী সোহানী মজমুদার সেতার বাদনে ‘রাগ আহীর ভৈরব’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বর্ষাকাল উদযাপনের আয়োজন। রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় বর্ষা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে ‘বর্ষা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়।
আষাঢ়ের প্রথম দিন এই আয়োজনটি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সম্পন্ন হয়। গানে, কথনে, আবৃত্তিতে বর্ষা বন্দনা করা হয়।
আয়োজনে রাগ ভৈরবীর পর বর্ষা কথন পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি শিল্পী কাজী মিজানুর রহমান। ঘোষণা পাঠ করেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট। আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী।
কথনের পর মূল আয়োজনে সঙ্গীত পরিবেশন করেন- ইয়াসমিন মুশতারী, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, অনিমা রায়, শামা রহমান, মকবুল হোসেন, ফেরদৌসী কাকলি, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, শ্রাবনী গুহ রায়সহ আরও অনেকেই।
এছাড়াও আবৃত্তি পরিবেশন করেন নায়লা তারাননুম চৌধুরী কাকলি, আসান উল্লাহ তমালসহ অনেকেই।
দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন ধৃতি নর্তনালয়, নৃত্যাক্ষ, স্পন্দন, বেমুকা ললিতকলা কেন্দ্র, সিনথিয়া একাডেমি অফ আর্টস ও নৃত্যম।
এছাড়া ধরিত্রীকে সবুজ করার লক্ষ্যে প্রতীকীভাবে শিশু-কিশোরদের মাঝে বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়।