‘বিএনপিকে মাইনাস করতে গেলে রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবেন’
Published: 3rd, May 2025 GMT
পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, “যারা তারেক রহমানের কথা শুনবে না, তারা বিএনপি করতে পারবে না। বিএনপিকে শেষ করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। আজ দেশ থেকেই আওয়ামী লীগ বিতাড়িত হয়ে গেছে। এখন আবার নতুন করে বিএনপিকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের বলতে চাই, যারা বিএনপিকে মাইনাস করতে যাবেন তারা দেশের রাজনীতি থেকেই হারিয়ে যাবেন।”
শুক্রবার (২ মে) রাতে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পাবনার চাটমোহর উপজেলা শ্রমিকদল আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাবিব বলেন, “বিগত ১৭ বছর আমাদের বিএনপির হাজার হাজার লাখ লাখ নেতাকর্মী নির্যাতিত হয়েছে। রাতের পর রাত ঘুমাতে পারেনি। বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে দেয়নি। আজকে বিএনপি ব্র্যান্ড। শ্রমিক মানেই গর্ব করার পেশা। শ্রমিকদের সম্মান করতে হবে। শ্রমিকদল এমন একটি সংগঠন তারা সব জায়গায় যাবার যোগ্যতা রাখে। বিএনপি নিজেদের সুবিধা খোঁজে না। বিএনপি সাধারণ মানুষের সুবিধা খোঁজে। বিএনপি নেতারা মানুষের পাশে থাকেন।”
শ্রমিকদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চাটমোহর রেলবাজার অমৃতকুন্ডা হাট প্রাঙ্গণে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর।
চাটমোহর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মোন্তাজ আহম্মেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হাসাদুল ইসলাম হীরা, চাটমোহর পৌর বিএনপির সভাপতি আসাদুজ্জামান আরশেদ, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এ এম জাকারিয়া, ফরিদপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল হাকিম, আটঘরিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনোয়ারুল আলম, চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাহমুদুল আলম মাহমুদ, মুলগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি লিখন বিশ্বাস প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব হাসানুল ইসলাম হীরা বলেন, “আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছেন। তার মধ্যে একটি আছে শ্রমিকদের অধিকারের জন্য। তা হলো কোন শ্রমিক যদি দুর্ঘটনায় আহত হলে তার সকল চিকিৎসা ব্যয় পরিবহন মালিকদের বহন করতে হবে। কোনো বাস শ্রমিক চট্টগ্রাম থেকে চাটমোহরে আসতে একদিন লাগে। একজন শ্রমিক টানা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে পারে না। অথচ মজুরি পান একই। অতিরিক্ত ডিউটি পালন করলেও অতিরিক্ত মজুরি বাস শ্রমিকরা পান না। এ বিষয়টি কঠোরভাবে দেখতে হবে।”
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান গান পরিবেশন করেন আরটিভি বাংলার গায়েন চ্যাম্পিয়ন রাসেল মৃধা, এটিএন বাংলার শিল্পী শান্তি আক্তার, এশিয়ান টিভির শিল্পী মীম, লালন শিল্পী মায়া রানীসহ অনেকে।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র স ব ক অন ষ ঠ ন র উপজ ল ব এনপ ক
এছাড়াও পড়ুন:
শুক্রবার রথযাত্রা উৎসব, লক্ষাধিক ভক্ত সমাগমের আশা ইসকনের
চলতি বছরের রথযাত্রা উৎসব ঢাকাসহ সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার। এ উপলক্ষে পর্যটক ও ভক্তদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। এরইমধ্যে প্রশাসন থেকে রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বুধবার ঢাকার স্বামীবাগ আশ্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরে ঢাকার আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী, কোষাধ্যক্ষ শ্রী জ্যোতিশ্বর গৌর দাস ব্রহ্মচারী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শ্রী বিমলা প্রসাদ দাস, শ্রী হৃষিকেশ গৌরাঙ্গ দাস, শ্রী নন্দন আচার্য্য দাস ও ইসকনের উত্তরা আশ্রমের অধ্যক্ষ শ্রী শুভ নিতাই দাস।
চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, এবারও সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা হবে। এরইমধ্যে ইসকনের অধীনে ১২৮টি রথযাত্রা উৎসব হবে। এবার রথযাত্রা উৎসবে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম আশা করা হচ্ছে। মহোৎসব সফল করতে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শোভাযাত্রায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। এরই মধ্যে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। এ ছাড়া শোভাযাত্রাসহ উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তায় নিজস্ব পাঁচ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন।
উৎসব ও শোভাযাত্রায় সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য সনাতন সম্প্রদায়সহ ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর ৩টায় রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। স্বামীবাগ থেকে রথের শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড়, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট পার হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে হাইকোর্টের মোড় হয়ে শহীদ মিনারের সামনে দিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। ৯ দিন পর ৫ জুলাই একই রাস্তা দিয়ে রথ ফিরে আসবে স্বামীবাগ মন্দিরে। একে উল্টো রথযাত্রা বলা হয়।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, ঢাকার রথযাত্রা পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রথযাত্রা উৎসব। শুক্রবার স্বামীবাগ আশ্রমে সকাল ৮টায় বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হবে শুভ রথযাত্রা মহোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দুপুর দেড়টায় আলোচনা সভা শেষে বিকেল ৩টায় রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন হবে। এবার উৎসবের উদ্বোধনের প্রধান অতিথি এখনও নির্ধারণ হয়নি।
প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। এর ৯ দিনের মাথায় হয় উল্টো রথযাত্রা। রথযাত্রা বিভিন্ন নামে পরিচিত। পুরী জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার প্রচলন হয়। বাংলাদেশেও রথযাত্রা হিন্দুদের একটি পবিত্র উৎসব। শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা। এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পদাবলি কীর্তন, ধর্মীয় নাটকসহ আট দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের মূল আকর্ষণ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।