রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি ও চোরসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫০ গ্রাম গাঁজা, মাদকদ্রব্য বিক্রির ১ হাজর ৮৪০ টাকা ও একটি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।

শনিবার (৩ মে) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখা থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডিএমপি জানায়, শুক্রবার (২ মে) হাতিরঝিল থানাধীন বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে আছে চোর, পেশাদার মাদক কারবারি, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো—মো.

রাকিবুল হাসান শান্ত, মোছা. খাদিজা বেগম, মো. শামীম, জুবায়ের হাসান, মো. ইমরুল খান, সোহেল রানা, কামরুল ইসলাম, সোহেল রানা, মো. রবিউল হাসান, মো. মোস্তাকিম ও মো. শাহীন। 

ঢাকা/এমআর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ভ ন ন অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

বোনের জন্য ভাইয়ের দেওয়া উপহার ‘স্বর্ণমোড়ানো কোরআন’ 

মুসলিমদের কাছে কোরআন হলো পবিত্র এবং সবচেয়ে উৎকৃষ্ট গ্রন্থ। ধর্মপ্রাণ মুসলিম কোরআনের প্রতি বিভিন্নভাবে ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেন। 

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘কোরআনের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের সবচেয়ে উত্কৃষ্ট পদ্ধতি হলো, কোরআনে বর্ণিত মহান আল্লাহর নির্দেশনাগুলোর উপর আমল করা।’’

আরো পড়ুন:

ডোডো পাখিকে কী ফেরাতে পারবে বিজ্ঞানীরা?

ছোট চুলের ট্রেন্ডি ‘হেয়ার কাট’

কেউ কেউ ভালোবাসার সেরা নিদর্শন হিসেবে প্রিয়জনকে কোরআন ‍উপহার দেন। আবার কেউ কেউ কোরআন সংরক্ষণেও বিশেষ ভক্তির নিদর্শন তৈরি করেন।  অনেকে আল্লাহর পবিত্র কালামের প্রতিটি লাইনকে স্বর্ণ মুড়িয়ে সংরক্ষণ করেছেন। তেমনি একটি কোরআনের কপি পাওয়া ভারতীয় এক পরিবারের কাছে।

২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর গালফ নিউজের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়, ‘‘ভারতীয় একটি পরিবারের কাছে প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো স্বর্ণমোড়ানো কোরআন রয়েছে। কপিটি বর্তমানে আছে ব্যাংক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হারিসের ঘরে।’’

গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে হারিস বলেন, ‘‘ সোনায় মোড়ানো পবিত্র কোরআনের বিশেষ পাণ্ডুলিপিটি আমার স্ত্রী আয়েশা কাসিম উপহার পেয়েছেন ২০০৯ সালে। তার বড় ভাই ইসমাইল বিন কাসিম মালয়েশিয়া থেকে বোনের জন্য উপহার হিসেবে ‘গোল্ডেন টুলিং কোরআন’ দেন।’’

তাদের তথ্যমতে, উপহারটির সঙ্গে আরও বহু নথি ছিল, যেমন মালয়েশিয়া থেকে পবিত্র কোরআনের এই বিরল পাণ্ডুলিপিটি স্থানান্তরিত করার অনুমতিপত্র। এছাড়াও ছিলো মালিকানার সনদপত্র এবং কোরআনের ইতিহাস। পাণ্ডুলিপির সঙ্গে থাকা নথিতে উল্লেখ রয়েছে যে, সোনার হরফে লেখা এই কোরআন ১৬ থেকে ১৮ শতকের মধ্যে প্রস্তুতকৃত।

ধারণা করা হয়, অটোমান সাম্রাজ্যের শাসনকালীন সময়ে আরবরা এই বিরল কোরআন চীনে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর ১৯৭১ সালে এটি মালয়েশিয়ায় আনা হয়।

হারিস বলেন,  ‘‘এই বিরল কোরআন তিলাওয়াত করে আমরা শান্তি অনুভব করি।’’

বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে তার স্ত্রী-সন্তানেরা এই স্বর্ণমোড়ানো কোরআন তিলাওয়াত করতে আনন্দ পান বলেও জানিয়েছেন হরিস। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ